ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকে কটাক্ষ,তার পরিবর্তে রবিবার ঘাটাল সাংসদ দেব সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন!
নিজস্ব সংবাদদাতা : রবিবার ২২শে জুন ঘাটাল মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। তিনি বন্যা পরিদর্শন করতে যান। এর আগে, মন্ত্রী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বন্যার জন্য ডিভিসির সমালোচনা করেন। মন্ত্রী বলেন, ডিভিসি কোনও তথ্য ছাড়াই ৭১,০০০ কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে। ঘাটালের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত, চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের ৫টি এবং চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ৩টি প্লাবিত। ঘাটাল পৌরসভার আরও ওয়ার্ডেও জল ঢুকে পড়েছে। ১৮৮টি গ্রাম প্লাবিত। প্রায় ২ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০০-এরও বেশি মানুষকে বিশেষ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি রান্নাঘরের মাধ্যমে তাদের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। মোট ৪৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলি এখনও চলছে, মন্ত্রী জানান।
মানুষের দোরগোড়ায় ডাক্তার এবং চিকিৎসা শিবির স্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলী কাদেরী, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, ঘাটাল মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যান তুহিন বেরা, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর, বিডিও এবং অন্যান্য ব্লক প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বন্যা মোকাবেলায় ঘাটালে পৌঁছেছেন।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের খাবার পরিবেশন করেছেন। এদিকে, ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কাপাটের অনুসারীরা ঘাটালের সাংসদ দেবকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছেন।
ফেসবুক পোস্টে তীব্র তিরস্কার করা হয়েছে, "তাহলে, তুমি কি এবার ঘাটালে শুটিং করতে আসবে, পাগলু? অভিনয় করতে করতে ঘাটালের মানুষের জীবন এবং আবেগ নিয়ে আর কতদিন মিথ্যা কথা বলবে? আর কতবার ঘাটালের মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবে? তুমি নিজেই ঢোল বাজিয়ে নিজেকে মাস্টারপ্ল্যান চ্যাম্পিয়ন বলেছ এবং ঘাটালের মানুষ তোমাকে ঢোলবাজ বলছে।" শীতল কাপাটের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করেছেন ঘাটালের সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি। তিনি বলেন, "আমরা শুনেছি যে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতায় দেবের বাড়িতে যেতেন। যদি তাকে তৃণমূলে নেওয়া হত, তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় সেখানে যেতেন। কিন্তু এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন যে তৃণমূলের দরজা তার জন্য বন্ধ। তিনি তাকে অপবাদ দিতে শুরু করেছেন।"
রবিবার ঘাটাল সাংসদ দেব তার ক্স -হ্যান্ডেল সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, বিগত ১০ বছর ধরে লোকসভার সকল অধিবেশনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর সপক্ষে সওয়াল করে এসেছি । অনেক চেষ্টার পরও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। ২০২৪ রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নেয় এবং এক তৃতীয়াংশ বাজেট (৫০০ কোটি) টাকা বরাদ্দ করে। ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কাজ শুরু হয়। এই মাস্টার প্ল্যান এ ৭৮ কিমি + ৫২ কিমি নদীর ড্রেজিং থেকে শুরু করে বাঁধ, ব্রিজ ,খাল কাটা, খালের সংস্করণ, কৃত্রিম নদী তৈরি করা, জমি অধিগ্রহণ সবই আছে। যার সময়সীমা কমপক্ষে ৪-৫ বছর।ঘাটাল এ বন্যা হওয়ার পর মানুষের অভিমান যথারীতি জনপ্রতিনিধিদের উপরেই হবে। এই দুর্যোগের সময় সরকার এবং প্রশাসন আপনাদের পাশে সব সময় আছে। তবে দেবের আশ্বাস দেন ,দুর্যোগে সরকার এবং প্রশাসন আপনাদের পাশে সবসময় রয়েছে।