ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে মহাষষ্ঠীর দিন একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা!
বরুণ কুমার বিশ্বাস : পঞ্চমী থেকেই ঘাটাল শহরে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে দেবী মূর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। মানুষের আনাগোনা প্রকৃতি সুন্দর থাকায় অনেক বেড়েছে।কিন্তু আজ মহাষষ্ঠীর দিনই সকাল থেকে প্রায় সারা দিন ধরে ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে একটার পর একটা ঘটে গেল বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা।এর মধ্যে ঘাটাল শহরের হাসপাতালের কাছে বারো হাত কালীর মোড়ে সকাল বেলায় একটি ভয়ানক পথ দুর্ঘটনা ঘটে যায়।একটি চন্দ্রকোনা হাওড়া রুটের বাস সরাসরি একটি স্কুটির পিছনে ধাক্কা মারলে স্কুটি চালক মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর গাড়ির চাকা তার মাথার উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় একেবারে দুর্ঘটনা স্থলেই বাইক চালকের মৃত্যু ঘটে।স্থানীয় মানুষজন সাথে সাথেই ছুটে আসে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় জনগণ কয়েকটি কারণে খুবই ক্ষোভে ফেটে পড়ে।রাজ্য সড়কের প্রসার হওয়ার পর থেকেই দুদিকে যে ফুটপাত তৈরি হয়েছে সেগুলি পুনরায় প্রায় সবটাই বেদখল হয়ে গেছে। ব্যবসার জন্য বিভিন্ন গুমটি, দোকান ঘর গজিয়ে উঠেছে। বাকি কিছু অংশ তে মাঝেমধ্যেই নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকে। বিশেষ করে ঘড়ি মোড়ে ফুটপাতের আর কোন চিহ্নই নেই। পুরোটাই বিভিন্ন ফল দোকান ,টোটো, অটো ইত্যাদির দ্বারা একেবারে বেদখল হয়ে গেছে। হাসপাতাল মোড়ের ফুটপাত সম্পূর্ণরূপে অ্যাম্বুলেন্স শববাহী গাড়ি ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ থাকে। তার মধ্যে দিয়েই মোটরসাইকেল ও মানুষজন যাতায়াত করে। স্বাভাবিক ও সুস্থভাবে চলাচলের কোন উপায় থাকে না, যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা করতে পারে।চার লেনের রাস্তা এবং মাঝখানে ডিভাইডার প্রাচীর হওয়াতে রাস্তার বিভিন্ন সংযোগস্থলে পারাপার করার জন্য কোন ট্রাফিক পুলিশ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকেনা, ফলে মানুষজন ইচ্ছামত পারাপার করতে থাকে এবং গাড়ি ঘোড়াও একই সাথে চলতে থাকে । ব্যস্ততার কারণে সবাই আগে এদিক ওদিক যেতে চায়। স্বভাবিক ভাবেই প্রায়শই এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।এতদিন রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও কোন সিগনাল সিস্টেম না হওয়ায় মানুষজন স্বাভাবিক ভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সুষ্ঠুভাবে রাস্তায় চলাচল করতে পারে না। ফলস্বরূপ দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে একটার পর একটা । এছাড়া অন্য উপসর্গও আছে। প্রচুর সংখ্যক ছাড়া গরু রাস্তার মাঝে যত্রতত্র শুয়ে থাকে, এর ফলেও গাড়ি চালকদের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ভয়ানক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।যাই হোক মহাষষ্ঠীর দিনে এই দুর্ঘটনা সাধারণ মানুষ চাক্ষুষ করার ফলে তারা স্বাভাবিকভাবেই বিহ্বল হয়ে পড়ে।প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার দিকে আঙুল তুলে কিছু মানুষ অভিযোগ জানাতে থাকেন এবং সবশেষে পুলিশ এসে অবস্থার সামাল দেয়।একই সাথে সোনামুইতে হাওড়া গামী একটি বাস একটি ভ্যান গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারলে ভ্যান গাড়িটি একটি দোকানে গিয়ে ধাক্কা মারে ।দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর না থাকলেও কিছু মানুষ আহত হয় ।অন্য একটি ঘটনায় ঘাটাল হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে টোটো গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা লাগলে উল্টে গিয়ে মানুষজন আহত হয়ে কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়।