বঙ্গোপসাগরে হাজির ঘূর্ণাবর্ত ,হাওয়ার দাপট ৬০ কিমি ,অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি বিভিন্ন জেলায় !
নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলার কপালে বড় দুর্যোগের আশঙ্কা। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে হাজির হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত ৷ সমুদ্রতল থেকে ৩.১ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এই সাইক্লোনিক সার্কুলেশনটি ৷ এর পাশাপাশি আরও একটি ট্রফ সাইক্লোনিক সার্কুলেশনের উপর দিয়ে উত্তরপশ্চিম উত্তর প্রদেশ থেকে পূর্ব বাংলাদেশ বরাবর বিস্তৃত রয়েছে ৷ এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, দক্ষিণ বিহার, ঝাড়খণ্ড, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে এটি বিস্তৃত রয়েছে৷ এটি সমুদ্রতল থেকে ০.৯ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে৷ IMD-র সাম্প্রতিকতম ওয়েদার আপডেটে জানা যাচ্ছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ইতঃস্তত বিক্ষিপ্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় তোলপাড় হতে পারে৷ ২০ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে হাওয়া বয়ে যাবে ৷ ২৪ তারিখের পর থেকে বাড়বে হাওয়ার গতি, ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বইবে হাওয়া৷ এই সময়ে বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের জারি করা সাম্প্রতিক ওয়েদার আপডেটে আগামী ২-৩ দিন ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ৷ সপ্তাহের শেষের দিকে তেমন বজ্রবিদ্যুৎ কালবৈশাখীর সম্ভাবনা নেই। ২৩ মে পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তারপরেই মেঘলা আকাশ থাকলেও ধীরে ধীরে বৃষ্টির পূর্বভাস কেটে যাবে। এমনটাই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।বৃষ্টিপাত না হলেও জেলাগুলির তাপমাত্রা অনেকটাই কম থাকবে। কারণ সোমবার থেকেই মেঘলা আকাশ রয়েছে গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে। সপ্তাহব্যাপী এই ধরনের আবহাওয়া থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদহ: ধেয়ে আসছে দমকা হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি নেমে আসার সম্ভাবনা।