গোয়ার নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পর্যটক সহ মৃত্যু অন্তত ২৫ জনের!

নিজস্ব সংবাদদাতা : গোয়ায় একটি নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু ২৫ জনের। পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার ৬ষ্ঠ ডিসেম্বর গভীর রাতে উত্তর গোয়ার আরপোরার রোমিও লেন ক্লাবের বার্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। রাজ্যের রাজধানী পানাজি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ক্লাবটি। তাতেই কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন মহিলা এবং ২০ জন পুরুষ রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই ক্লাবের কর্মচারী বলে জানা গিয়েছে। শনিবার রাত ১২টা ৪ মিনিটে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সম্ভাব্য কারণ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ২৫ মৃত্যু, হাহাকারের পর, মুখ খুললেন গোয়ার নাইটক্লাবের মালিক সৌরভ লুথরা। রোমিও লেনের বার্চের মালিক সৌরভ লুথরা তার উত্তর গোয়ার নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে পলাতক। তবে, সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্টেটমেন্ট প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, 'বার্চে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার ফলে প্রাণহানির ঘটনায় কর্তৃপক্ষ গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং গভীরভাবে মর্মাহত।অপূরণীয় ক্ষতি এবং দুর্দশার এই মুহূর্তে, কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিবার এবং আহতদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ আরও নিশ্চিত করছে যে, শোকাহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যখন এই চরম যন্ত্রণা ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তখন তাঁদের সম্ভাব্য সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।এর মধ্যেই নাইটক্লাবের মালিকদের নিয়ে আরও একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিতই ছিলেন না নাইটক্লাবের মালিক। সরু গলি পেরিয়ে নির্জন এলাকায় নাইটক্লাব।

ছিল না যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আর এই গাফিলতিতেই বেঘোরে প্রাণ হারালেন ২৫ জন। রাতভর হুল্লোড়ের প্ল্যান ছিল সকলের। মালিক, ম্যানেজারের ত্রুটিতেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন পর্যটকরা। রবিবার ভোরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ড. প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বির্চ বাই রোমিও লেন নাইটক্লাবের মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। শীঘ্রই মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হবে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করতে, পুরো ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।