বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের ছোটো রামবনি এলাকায় আকাশ থেকে কুইন্টাল কুইন্টাল বরফ পড়ছে!

নিজস্ব সংবাদদাতা : ১ বা ১০ কেজি নয় আচমকা আকাশ থেকে পড়ল এক কুইন্টাল বরফের চাঁই।বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের ছোটো রামবনি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এমনই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাঁকুড়ার সিমলাপালে। একইসঙ্গে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। কীভাবে আকাশ থেকে এত বড় বরফের টুকরো পড়ল তা বুঝে উঠতে পারছেন না বিজ্ঞানীরাও। শনিবার সকালে সিমলাপাল ব্লকের ছোট রামবনি গ্রামে একটি চাষের জমিতে বিশাল আকার এই বরফের টুকরো আকাশ থেকে ভেঙে পড়ে। যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে কোনও বাড়ি বা কারও উপরে পড়লে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে চাষের জমিতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। সেই সময় আচমকা তারা বিকট শব্দ শুনতে পান। তখন তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন বিশালাকার এই বরফের টুকরো পড়ে রয়েছে। মাটিতে পড়ার ফলে সেটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। একজন কৃষক জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টির পর শনিবার রোদ ওঠায় মাঠে কাজে গিয়েছিলেন কয়েকজন কৃষক। প্রথমে কাজ করার সময় তারা বাতাস চলার মতো শব্দ শুনতে পান। সেই শব্দ শোনার পরে আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পান সাদা রংয়ের একটি বস্তু আকাশ থেকে নিচে পড়ছে। তা দেখে কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে বস্তুটি নিচে পড়লে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন সেটি আসলে এটি বরফের চাঁই। যে জায়গায় এই বরফ পড়েছিল সেখানে কিছুটা গর্ত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বরফের টুকরো ছড়িয়ে ছিল।স্থানীয়দের দাবি, এরকম তো আমরা শুনিনি। পরিষ্কার আকাশ। পরে আবার কয়েকজন ওই বরফ নিয়েও গিয়েছে বাড়িতে।” অনেক সময় বিমানের ডি-আইসিং হলে এরকম বরফ ফেলা হয়। তবে সেটা সাধারণত নীল রঙের হয়।এ প্রসঙ্গে বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ভূগোলের শিক্ষক বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক ভাবে এত বড় আকারের বরফ বায়ুমণ্ডলে তৈরি হওয়া কার্যত অসম্ভব। এত বিশালাকার বরফ তৈরি হওয়ার অনেক আগেই তা মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠে এসে আছড়ে পড়বে। আমার ধারণা, কোনও বিমান বা হেলিকপ্টার ওই বরফের চাঁইটি নিয়ে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনাবশত সেটি পড়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি হয়ে থাকতে পারে।