ইডেনে জন্মদিন ও সেঞ্চুরি!
নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৪ বছরের ব্যবধানে ইডেন গার্ডেন্সে ওয়ান ডে সেঞ্চুরি। আর এটা আর বাকি সেঞ্চুরির মতো নয়। বিশ্বকাপ, সামনে বিধ্বংসী দক্ষিণ আফ্রিকা, জন্মদিন, ঐতিহ্যের ইডেন গার্ডেন্স, মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে ছোঁয়ার সুযোগ।কেরিয়ারের ৪৯তম ওডিআই সেঞ্চুরিতে ‘আইডল’ সচিনকে ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি।ইডেনে সাধারণত বাউন্স ও গতিসম্পন্ন পিচ দেখা যায়। এ দিনের পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই কঠিন ছিল। চাইলেও ঝোড়া ইনিংস খেলা কঠিন। বিরাট বলছেন, ‘আমাদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। আমি যখন ক্রিজে নামি, দল ভালো জায়গায়। দশ ওভারের পর থেকে বল পিচে গ্রিপ করছিল, স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছিল। পিচ ক্রমশ মন্থর হয়েছে। প্রয়োজন ছিল যতটা সম্ভব বেশি সময় ক্রিজে থাকা। মূলত ইনিংস অ্যাঙ্কর করতে চেয়েছিলাম। শ্রেয়স শট খেলছিল। ৩২৬ বা এমন কোনও টার্গেট নিয়ে ভাবিনি। তবে যতটা সম্ভব ইনিংস গভীরে টানাই লক্ষ্য ছিল।’এশিয়া কাপের আগে শিবিরে সিচুয়েশন প্র্যাক্টিসও করেছিলেন। সে কথাই জানালেন বিরাট। বলছেন, ‘এশিয়া কাপের শিবিরে ৩-৪ নম্বরের সিচুয়েশন অনুযায়ী আমি ও শ্রেয়স প্র্যাক্টিস করেছিলাম। স্পিনারদের কীভাবে সামলাতে হবে, সেটাও মাথায় ছিল। ম্যাচেও সেটাই চেষ্টা করেছি।’ টেকনিক্যাল বিষয়ের সঙ্গে সেঞ্চুরি নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না, হয় নাকি? জন্মদিন ও সেঞ্চুরি। আপ্লুত বিরাট কোহলি বলছেন, ‘দেশের হয়ে প্রতিটা ম্যাচই দারুণ ব্যাপার। আর জন্মদিনে সেঞ্চুরি, এ যেন স্বপ্নের মতো। ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে যেন। না হলে এমন মুহূর্ত আসে না।’