দিঘায় 'জগন্নাথ ধাম'-তৈরি হচ্ছে বিশ্ব সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রও!

পূর্ব মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : আগামী রবিবার ৭ জুলাই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। এই উৎসব সারা দেশজুড়ে পালিত হবে। সাড়ম্বরে রথোৎসব পালিত হয় পশ্চিমবঙ্গেও। মহিষাদল রাজবাড়ির রথ , মাহেশের রথ সকলের জানা। রথযাত্রা নিয়ে শুধু পড়শি রাজ্য ওড়িশাতেই ধুমধাম নয়, দিঘায় বিশাল জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে পুরীর মন্দিরের আদলে । শুধু মন্দিরের আদলেই মিল নয়, পুরীতে যে রীতি আচার মেনে জগন্নাথ-বলভদ্র-সুভদ্রার পুজো হয়, দিঘার মন্দিরেও সেই রীতিই মানা হবে। এবার জোর চর্চা দিঘার রথ নিয়েও। বৃহস্পতিবার পুরোহিতকে নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে দিঘার জাহাজ বাড়িতে। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক হয় এদিন। জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, পুলিশ কর্তা, মহকুমাশাসক, বিদ্যুৎ, পূর্ত-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা ছিলেন। সেখানেই ছিলেন মহিষাদল থেকে আসা দু'জন পুরোহিতও।দীর্ঘক্ষণ এদিন বৈঠক হয়। তবে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কেউ কোনওরকম মন্তব্য করতে চাননি। যদিও এ বৈঠক যে দিঘায় নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির ও রথের বিষয়ে, তা কার্যত স্পষ্ট। বৈঠক শেষে প্রশাসনের কর্তারা দিঘার জাহাজ বাড়ি থেকে সোজা চলে যান জগন্নাথ মন্দিরের স্থানে। খতিয়ে দেখেন মন্দিরের কাজকর্ম। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা চলে যান ওল্ড দিঘায় জগন্নাথ ঘাটের মন্দিরে। ৭ তারিখ দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সম্ভাবনা নেই। বিশ্ব সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রও তৈরি হচ্ছে দিঘায় 'জগন্নাথ ধাম'-কে সামনে রেখে। সেখানে থাকবে পাঠাগার,গবেষণার ব্যবস্থা।গড়ে ওঠার কথা সংগ্রহশালারও। যদিও ,বৃহস্পতিবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। এই মন্দির তৈরির দায়িত্বে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনফ্রাস্ট্রাকচর ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা হিডকো। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, হিডকো শুধু রাজারহাটের উন্নয়নের কাজ করতে পারে। এর বাইরে কোনও কাজের ক্ষমতা তাদের নেই। এই আবেদনে মামলা হয়। প্রধান বিচারপতি এদিন সেই মামলা খারিজ করে দেন। ফলে মন্দির তৈরি নিয়ে জটিলতার কিছু নেই। আদালত জানিয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব রাজ্যের। তারা ঠিক করবে কোন বিভাগকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করবে। তাই শেষে বলা যায় এবারের রথযাত্রার আগে যদি বা দিঘার মন্দিরের উদ্বোধন না হয়, তাহলে আগামী বছরের আগে তা হবেই।