উচ্চ মানের গবেষণায় সাফল্যের স্বীকৃতি, পুরস্কৃত হলো মেদিনীপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ!

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন:  উচ্চমানের গবেষণা কাজে ব্যপক সাফল্য অর্জনের কারণে কলকাতায় পুরস্কৃত হলো মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত মেদিনীপুর সিটি কলেজ। সম্প্রতি কলকাতার 'ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট সায়েন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চ' (IISER) 'চিরন্তন রসায়ন সংস্থা' কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেদিনীপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুদীপ্ত চক্রবর্তীকে রৌপপদক ,স্মারক ও মানপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয় তাঁর গবেষণা কাজের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে। কলকাতার একটি বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রে ড. চক্রবর্তীকে সংবর্ধিত করা হয়। 'চিরন্তন রসায়ন সংস্থা' ২০১৮ সাল থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ও তাদের কৃতি গবেষণা কাজের জন্য বিভিন্নজনকে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে সংবর্ধিত করে আসছে। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা থেকে এই প্রথম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞানী তথা কৃতি গবেষক হিসাবে কলকাতার 'ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট সায়েন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চ' (IISER) 'চিরন্তন রসায়ন সংস্থা' কর্তৃক মেদিনীপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ রৌপ্যপদক পদক দ্বারা ভূষিত হলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তথা 'চিরন্তন রসায়ন সংস্থা'র সভাপতি ব্রজগোপাল বাগ। বিজ্ঞান বিষয়ক তাঁর নতুন যুগান্তকারী আবিষ্কার সায়েন্টিস্ট রিসার্চ, ড্রাগ ডিসকভারি, বিজ্ঞান কেন্দ্রিক নতুন ঔষধ আবিষ্কারের নজর কাড়া সাফল্য পেয়েছেন কৃতি এই গবেষক ড.চক্রবর্তী।

ড. চক্রবর্তী এর পূর্বে দীর্ঘদিন আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ (NIH) -এর অর্থানুকূল্যে রাস ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সেন্টার এবং মিনাসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফল্যের সঙ্গে প্রায় এক দশকের কাছাকাছি সময় গবেষণা কর্মে যুক্ত ছিলেন। নিউরোলজিক্যাল সায়েন্স রোগের ক্ষেত্রে ড্রাগ বিষয়ক নতুন ঔষধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে আমেরিকার ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি রাস ইউনিভার্সিটি সার্টিফিকেট ইন এক্সিলেন্স অ্যান্ড রিসার্চ পুরস্কারে অভিষিক্ত হয়েছিলেন একদা। মেদিনীপুর সিটি কলেজে কর্মরত অধ্যক্ষ অবস্থায় ড. চক্রবর্তীর অধীনে তিনজন কৃতি গবেষক বর্তমানে গবেষণা কর্মে যুক্ত আছেন। তিনি মূলত স্থূলত্ব বিষয়ক স্মৃতিভ্রম থেকে রক্ষা পাওয়া এবং খারাপ শিক্ষার্থী থেকে ভালো শিক্ষার্থীতে রূপান্তরিত মহিলারা মেলোপজ সংক্রান্ত স্মৃতি দুর্বলতা জনিত সমস্যার সমাধানে গবেষণায় রত। আই সি এম আর গবেষণা থেকে প্রাপ্ত অর্থে তাঁর এই গবেষণা নতুন পথের দিশা দেখাচ্ছে আপামর মেদিনীপুরবাসীকে। অধ্যক্ষের এই ব্যাপক সাফল্যে স্বভাবতই খুশি মহাবিদ্যালয়ের অন্যান্য গবেষক থেকে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরাও। মেদিনীপুর সিটি কলেজে কর্ণধার ড. প্রদীপ ঘোষের কথায় "বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণায় এর আগে কৃতি অধ্যাপক- গবেষকদের সাফল্যে সাড়া ফেলেছে মেদিনীপুর সিটি কলেজ। তবে অধ্যক্ষ মহাশয়ের উচ্চমানের গবেষণায় রৌপপদক প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে কলেজের গৌরব বৃদ্ধি করল। কলেজের শিরোপাতে একটি নতুন পালক যুক্ত হল। আগামী দিনে আরো উচ্চমানের গবেষণায় আমাদের অধ্যাপক- গবেষকরা সাফল্য নিয়ে আসবে আশা রাখি।