গত শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়ার ললিতাশোল গ্রামে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলো ইউ. এ. এল. বেঙ্গল কোম্পানী!

ঝাড়গ্রাম নিজস্ব প্রতিবেদন : ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়ার ললিতাশোল গ্রামে মিলন সংঘ ক্লাবের জন্য গৃহ নির্মান করে দিল ইউ. এ. এল. বেঙ্গল কোম্পানী। গত শনিবার এরই উদ্বোধন করেন ইউ. এ এল বেঙ্গল সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর কে. এন. পি. সিনহা সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সুনীল কুমার পান্ডে ও কোম্পানীর পদস্থ আধিকারিকবৃন্দ। সাংস্কৃতির বিকাশের ক্ষেত্রে মিলন সংঘের অবদান অপরিসীম। কিন্তু স্থায়ী গৃহ নাথাকার কারনে বহু কাজই অসমাপ্ত থাকছিল। কোম্পানীর সহযোগীতায় গৃহ নির্মানের ফলে ক্লাব সদস্যের মধ্যে একটা আলাদা উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছিল। ক্লাবের এক সদস্য জানান ইউ. এ. এল. বেঙ্গল কোম্পানী আগেও মানিকপাড়াতে অনেক জনহীতকর কাজকর্ম করেছিল, তাই তাঁরা কোম্পানীর কাছে তাঁদের ক্লাবের জন্য স্থায়ী গৃহের আবেদন করে। কোম্পানী কর্তৃপক্ষ এত সুন্দর গৃহ নির্মানের জন্য ক্লাব সদস্য ও এলাকাবাসী কোম্পানীকে কৃতজ্ঞতা স্থাপন করেন। শ্রী পান্ডে বলেন তাঁর সংস্থা বহুদিন ধরে সারা বছর ব্যাপী জনহীতকর কাজকর্ম করে থাকে এটা তাঁরই উদাহরন মাত্র। ভবিষ্যতেও এরূপ আরও কাজের পরিকল্পনা আছে।

অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া নেত্র নিরাময় নিকেতনে রুগী প্রতিক্ষালয় ও শৌচালয় নির্মান করে দিল ইউ. এ. এল. বেঙ্গল কোম্পানী। কথায় আছে অন্ধজনে দেহো আলো মৃত জনে দেহো প্রান। এই প্রাবদকে বাস্তবায়িত করতে ইউ. এ. এল. বেঙ্গল কোম্পানী চক্ষুরুগীদের জন্য একটি রুগী প্রতিক্ষালয় ও শৌচালয় নির্মান করলো মানিকপাড়াতে। মানিকপাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের তত্ত্বাবধানে ও চৈতন্যপুর নেত্র নিরাময়ের অভিজ্ঞ চিকিসৎকের দ্বারা একটি সাপ্তাহিক চক্ষু পরীক্ষাকেন্দ্র আজ বহুদিন ধরে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে রুগী বৃদ্ধির কারনে গৃহটি চক্ষু রুগীদের ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত হচ্ছিল। গত শনিবার একই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর কে. এন. পি. সিনহা সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সুনিল কুমার পান্ডে, কোম্পানীর পদস্থ আধিকারিকগন ও স্বামী ভবানন্দ মহারাজ। মানিকপাড়া নেত্র নিরাময় কেন্দ্রটি মানিকপাড়া রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধিনে একটি চক্ষু পরীক্ষার স্থান। এই স্থানে সাপ্তাহিক চক্ষু পরীক্ষার পর যে সকল রুগীদের অস্ত্রপ্রচারের প্রয়োজন হয় তাদেরকে নির্দিষ্ট দিনে হলদিয়ার চৈতন্যপুরে নেত্র নিরাময় নিকেতনে নিয়ে যাওয়া হয় বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য। কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার এর উদ্বোধন করে আমাদের জানান রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী ভবানন্দের নির্দেশে বহুদিন ধরে বহু প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও আরো কাজ করার পরিকল্পনা আছে।