কোহলির ফোনেই মুক্তি! সুপারফ্যান শৌভিক বাড়ি ফিরল অবশেষে

নিজস্ব সংবাদদাতা : হুগলির আরামবাগের কলেজপড়ুয়া শৌভিক মুর্মুর কাঁধ থেকে অবশেষে নেমেছে উদ্বেগের পাহাড়। বিরাট কোহলির একনিষ্ঠ ভক্ত এই তরুণকে রাঁচি পুলিশ আটক করেছিল নিরাপত্তা বলয় ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়ার অপরাধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর মুক্তিতে এগিয়ে এলেন সেই প্রিয় নায়কই—স্বয়ং বিরাট কোহলি! গত রবিবার রাঁচিতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ওয়ানডে চলাকালীন বিরাট সেঞ্চুরি পূর্ণ করতেই উচ্ছ্বাস সামলাতে পারেননি শৌভিক। মাঠের গ্যালারি থেকে দৌড়ে নেমে গিয়ে কোহলির পায়ে জড়িয়ে ধরেন তিনি। নিরাপত্তা ভাঙার দায়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরাও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। শোনা যাচ্ছিল, প্রশাসনিক স্তর থেকেও তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

শৌভিকের বাবা সমর মুর্মু জানিয়েছিলেন, ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁরা বিভিন্ন মহলে অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সামনে আসে এক চমকপ্রদ তথ্য—ভক্তের মুক্তির জন্য উদ্যোগী হয়েছেন স্বয়ং বিরাট কোহলি! বুধবার বাড়ি ফিরে শৌভিক বলেন, “আমাকে পুলিশ থানায় রেখেছিল, ঠিক কোন থানা মনে নেই। তবে কোহলি স্যার ফোন করে আমার বিষয়ে কথা বলার পরই আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” তিনি আরও জানান, বাড়ির লোক পৌঁছতে না পারায় রাঁচির একটি হোটেলে এক রাত কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। এরপরই বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা হয়। কেশবপুর কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এই ছাত্র বিরাটকে প্রায় দেবতা মনে করেন। রাঁচির মাঠে ঢুকে কোহলির পা ছুঁতে পারার পর শৌভিকের বহুদিনের ইচ্ছা পূর্ণ হলেও, তার ফলস্বরূপ আটক হতে হয়েছিল তাঁকে। তবে শেষ পর্যন্ত ভাগ্যদেবীর আশীর্বাদ—এবং প্রিয় নায়কের অনুরোধে—মুক্তি মিলল এই তরুণ ভক্তের। বাড়ি ফিরে এখন স্বস্তিতে শৌভিক এবং তাঁর পরিবার। তবে এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে মাঠের নিরাপত্তা নিয়ে। কিন্তু তার থেকেও বড় খবর—ভারতের ক্রিকেট স্টারের মহত্ত্ব আর এক বারের জন্য প্রমাণিত হলো তাঁর ভক্তকে সাহায্য করে।