বৃহস্পতিবার অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের রাতে প্রতিবাদে উত্তাল আর জি কর কলেজ ও হাসপাতাল!
নিজস্ব প্রতিবেদন : : স্বাধীনতা দিবসের রাতে আর জি কর হাসপাতালে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, বিরসা দাশগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তীদের সঙ্গে জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন সোহিনী সরকারও । পাশে ছিলেন গায়ক স্বামী শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ও। সেখান থেকেই সোহিনীর একটি মন্তব্য আপাতত ভাইরাল। অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, “এই প্রতিবাদ যেন শুধু তারকাদের জমায়েত না হয়ে ওঠে।”আন্দোলনরত ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে সোহিনী সরকারের মন্তব্য, “এই মুহূর্তে নমস্কার, ধন্যবাদ কোনওটাই বলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই। এর শেষ কোথায় সেটাও জানা নেই। শুধু জানি, এই নৃশংস অত্যাচারের শেষ চাই। কী ভাবে হবে? সেটা যাঁরা রাজ্য বা দেশ চালানোর দ্বায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা জানবেন।” সেই সঙ্গে অভিনেত্রীর সংযোজন, আমরা শহরের আর কোনও মেয়ে, তরুণী চিকিৎসকের মতো যন্ত্রণা পেয়ে মরতে রাজি নই। এই প্রতিবাদ আর যেন না করতে হয়। আর যেন কোথাও, কোনও মেয়ের সঙ্গে এমন নারকীয় ঘটনা না ঘটে।”
দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। তবে আর জি কর কাণ্ডের জেরে উৎসব-অনুষ্ঠান, আনন্দ সব ম্লান! বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছে কলকাতা। পাশে গোটা দেশ। বাংলার মেয়েদের আন্দোলন ছড়িয়েছে গোটা দেশ তথা আন্তর্জাতিক মঞ্চেও। ১৪ আগস্ট রাজ্যজুড়ে ‘রাত দখলে’র অভিযানে নেমেছিলেন নারীরা। আর স্বাধীনতা দিবসে দ্বিতীয় দিনের জমায়েতে উপস্থিত পরিচালক, অভিনেতা থেকে সঙ্গীতশিল্পীরা।
১৪ আগস্ট রাতজুড়ে প্রতিবাদ মিছিলের পরই সামনে এল এক ভিডিও। সেখানে সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংকে একটি ঘোষণা করতে দেখা যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জেরই ছেলে তিনি। ওই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'ফেসবুকে আপডেট করলে হবে না কিন্তু কাকা। হ্যাঁ। ফেসবুক, টুইটার করে কিন্তু হবে না। আমি এসব ব্যাপারে আপডেট দিতে পছন্দ করি না। আমি আজ থেকে কাজ শুরু করলাম। তোমরা কে কে কাজ করছ? (উত্তরে ''সবাই, সবাই'' শুনে) থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ। আমাদের ইভেন্ট কোম্পানি অ্যামিগোজ আর আমাদের ট্রাস্ট লেট দেয়ার বি লাইট। প্রচুর সহযোগিতা চাই আপনাদের। আমরা আজ থেকে আমাদের লোগো লঞ্চ করলাম। অ্যান্টি-রেপ। থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।'