জোড়া শতরানেই সিরিজের নায়ক: জয়-পরাজয় ছাপিয়ে উজ্জ্বল বিরাট কোহলি!

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাঁচীর পর রায়পুর—দু’টি শহরেই একই ছবি। ব্যাট হাতে ছন্দে বিরাট কোহলি, রানের বন্যা, আর মাঠজুড়ে তাঁর আধিপত্য। সিরিজের ফলাফল যাই হোক না কেন, কোহলি নিজের লড়াইয়ে যে জিতে গিয়েছেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই সিরিজ ছিল দ্বৈত পরীক্ষা—দলের নতুন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের পরিকল্পনায় নিজের জায়গা পোক্ত করা এবং ২০২৭ বিশ্বকাপের দলে থাকার যোগ্যতা প্রমাণ। প্রথম দুই ম্যাচের পর স্পষ্ট, কোহলি সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ। রায়পুরে শতরান করে এক দিনের ক্রিকেটে পর পর ১১ বার দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করার নজির গড়লেন তিনি। তাঁর পরেই রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এ বি ডিভিলিয়ার্স—মাত্র ছ’বার এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, ৫০ ওভারের খেলায় কোহলি এখনও ভারতের সবচেয়ে দৃঢ় ভরসা।

রায়পুরে পাওয়ার প্লে-তেই নামতে হয় তাঁকে। এবং প্রথম বল থেকেই ‘অ্যাটাক মোড’—ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু! যা কোহলিকে খুব কমই করতে দেখা যায়। অনুশীলনেই দেখা গিয়েছিল দীর্ঘ শটের প্রস্তুতি, ম্যাচে তারই সফল প্রয়োগ। তবে রাঁচীর ইনিংস নিখুঁত ছিল রায়পুরের থেকে অনেক বেশি। সেখানে আউট হওয়ার আগে একবারও সুযোগ দেননি। ১২০ বলে ১৩৫ রানের ইনিংস ছিল এক কথায় শিল্পকর্ম। রায়পুরের ইনিংসে যদিও কিছু সুযোগ তুলে দিয়েছেন। কয়েকটি বল ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ১০২ রান করে ফেরেন। অন্যদিকে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে এদিনও এল না বড় রান। তিনটি চার মেরে দারুণ শুরু করেও আবারও অফ স্টাম্পের বাইরের বলেই খোঁচা—৮ বলে ১৪ রানে ফিরলেন তিনি। রায়পুরের উইকেট ব্যাটিংয়ের পক্ষে সাহায্যকারী ছিল। সেখানে আরও ধৈর্য দেখালে নিশ্চিতভাবেই বড় রান আসতে পারত তাঁর ব্যাট থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের চাপ যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়েই সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিয়েছেন কোহলি। দলের রান চাকা তিনিই ঘুরিয়েছেন। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের এটাই নিখুঁত উদাহরণ। এক দিনের দলে নিজের জায়গা নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর তিনি ব্যাটে দিয়ে দিয়েছেন। ভারত সিরিজ জিতুক বা হারুক—ব্যক্তিগত লড়াইয়ে বিরাট কোহলিই আজ নিঃসন্দেহে বিজয়ী।