IPLচ্যাম্পিয়ন KKR ! শহরের বাতাসে ভাসছে, ‘করল, লড়ল, জিতল রে’ সুরধ্বনি!

কলকাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা : হাজার দুয়েক মাইল দূরে সমুদ্র উপকুলে আর এক ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল হায়দরাবাদ। আইপিএলে কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজি KKR আবার সুবিধা করতে পারছিল না দীর্ঘদিন। গৌতম গম্ভীরের ছোঁয়ায় বদলে গেল সব। নাইট অধিনায়ক হিসেবে ২০১০ ও ২০১২ সালে গম্ভীর দুবার IPL চ্যাম্পিয়ন করেছেন । এবার মেন্টর হিসেবে গম্ভীর পেল ট্রফি। তাই দিল্লি ছেড়ে কলকাতা এখন হয়ে গিয়েছে গম্ভীরের হৃদয়ের রাজধানী। মরশুম শুরুর আগে দলের মালিক শাহরুখকে স্মরণ করে গম্ভীরকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”SRK আমাকে বলেছিলেন, এই ফ্র্যাঞ্চাইজি তোমার, ভাঙা-গড়া তোমারই হাতে।” গম্ভীর গড়েছেন তাঁর KKR-কে। তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে মাঠে। শহরের বাতাসে এই রাতে ভাসছে, ‘করল, লড়ল, জিতল রে’ সুরধ্বনি। বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা , নারিন, রাসেল, গুরবাজ, রিঙ্কু, ভেঙ্কটেশ-শ্রেয়স আইয়াররা আগের মতো এ বারও আছেন। শুধু নতুন মুখ ফিল সল্ট, মিচেল স্টার্ক, রমনদীপ সিং, অঙ্গকৃষ রঘুবংশীরা। কার্যত পুরনো একটা টিমকে পোডিয়ামে দাঁড় করানো কতটা কঠিন, মেন্টরই জানেন। গম্ভীর এই কঠিন কাজটা অবলীলায় করে গেলেন। ফাইনালেও হায়দরাবাদ পাত্তা পেল না গম্ভীর আগ্রাসনের সামনে। মাত্র ১১৩ রানে শেষ প্যাট কামিন্সের টিম। IPL ফাইনালের সর্বনিম্ন স্কোর। অথচ এই সানরাইজার্সই এ বার আইপিএলের ইতিহাসের সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড গড়েছে। হায়দরাবাদ টিকতেই পারল না কেকেআর বোলিংয়ের সামনে। স্টার্ক থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ আন্দ্রে রাসেল, তরুণ হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরা, সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী— উইকেটের খাতায় সবাই নাম লিখিয়ে গেলেন। কামিন্সের ২৪টা বাদ দিলে ১০০ ও পার হত না হায়দরাবাদের। ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, অনরিখ ক্লাসেন সবাই ব্যর্থ। যদিও ব্যর্থ ছিল নারিন ঝড়। রহমনউল্লাহ গুরবাজ, ভেঙ্কটেশ আইয়ার থামলেন না। নাইটরা যেমন দল হিসাবে দারুণ খেললেন, তেমনই ব্যক্তিগতভাবে একাধিক ক্রিকেটার জিতে নিলেন সেরার শিরোপা। আইপিএলে সেরার সেরা।

অরেঞ্জ ক্যাপ: বিরাট কোহলি (আরসিবি)- ৭৪১ রান
পার্পল ক্যাপ: হর্ষল প্যাটেল (পাঞ্জাব কিংস)- ২৪ উইকেট
মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার: সুনীল নারিন (কেকেআর)
ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অফ দ্য সিজন: সুনীল নারিন (কেকেআর)
ফেয়ার প্লে: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
ইলেকট্রিক স্ট্রাইকার অফ দ্য সিজন: জ্যাক ফ্রেসার ম্যাকগ্রুক (দিল্লি ক্যাপিটালস)

সর্বাধিক ছয়: অভিষেক শর্মা- ৪২ (সানরাইজার্স)
সর্বাধিক চার: ট্রেভিস হেড- ৬৪ (সানরাইজার্স)
ইমার্জিং প্লেয়ার: নীতীশ রেড্ডি (সানরাইজার্স)
সেরা ক্যাচ: রমণদীপ সিং (কেকেআর)
সেরা স্টেডিয়াম: রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম, হায়দরাবাদ
ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ: মিচেল স্টার্ক
ফাইনালে ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ: মিচেল স্টার্ক

চ্যাম্পিয়ন: ২০ কোটি (কলকাতা নাইট রাইডার্স)
রানার্স আপ: ১২.৫ কোটি (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ)
তৃতীয়: ৭ কোটি (রাজস্থান রয়্যালস)
চতুর্থ: ৬.৫ কোটি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)
মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার: ১০ লক্ষ টাকা (সুনীল নারিন)
অরেঞ্জ ক্যাপ জয়ী: ১০ লক্ষ টাকা (বিরাট কোহলি)
পার্পল ক্যাপ জয়ী: ১০ লক্ষ টাকা (হর্ষল প্যাটেল)