বাংলার ঢাকিদের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল আইটিসি সানরাইজ!
নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলা, বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপুজো। পুজোর আমেজটাই অসম্পূর্ণ থাকে ঢাকের বাদ্যি ছাড়া। বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাদ্যশিল্পী ঢাকিরা প্রতিটি প্যান্ডেলকে প্রাণ দেন তাঁদের ঢাকের তালে। অথচ তাঁদের শিল্পের প্রাপ্য স্বীকৃতি সচরাচর মেলে না। এবছর সেই চিত্র বদলাতে এগিয়ে এসেছে আইটিসি সানরাইজ, ‘সানরাইজ ঢাকী উৎসব’–এর মাধ্যমে। এটি এক অভিনব উদ্যোগ, যা ঢাকীদের সম্মান জানাচ্ছে, একই সময়ে বাংলার মানুষের সাথে তাদের সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় করছে।
রবিবার ২১শে সেপ্টেম্বর মহালয়ার সকালে কুমোরটুলি ঘাটে আয়োজিত হলো অভিনব সানরাইজ ঢাকী উৎসব। শতাধিক ঢাকীএকই সময়ে ঢাক বাজিয়েমানুষকে মাতিয়েতুললেনঢাকেরবোলে। এই অসামান্য আয়োজনের নেতৃত্বে ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পারকাশন শিল্পী তন্ময় বোস, সঙ্গে পদ্মশ্রীসম্মানপ্রাপ্তগোকুল ঢাকী।তাঁদের হাত ধরে উন্মোচিত হলো সানরাইজের জন্য বিশেষভাবে রচিত দুর্গাপূজার সুর—যা বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রতি এক আন্তরিক শ্রদ্ধার্ঘ্য। কুমোরটুলি ঘাটের পরিবেশ হয়ে উঠেছিল অভূতপূর্ব। ঢাকের বাদ্যগঙ্গার তীর জুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। স্থানটির প্রতীকী অর্থও ছিল গভীর—কুমোরটুলি, যেখানে মূর্তি গড়ে ওঠে, মহালয়ার দিনে যেখানে সম্পন্ন হয় তর্পণ ও চক্ষুদান—মা দুর্গার আগমনেরপ্রতীক। এই ভক্তি ও শিল্পের আবহে ঢাকের সমবেত ছন্দ হয়ে উঠল এক সম্মিলিত শ্রদ্ধাঞ্জলি, যা জানান দিল, ঢাকই বাঁচিয়ে রাখে পুজোর আসল প্রাণস্পন্দন। আইটিসি স্পাইসেস-এর বিজনেস হেড, পীয়ূষ মিশ্র বললেন, “দুর্গাপূজা শুধুমাত্র উৎসব নয়, এটা বাঙালিরএক আবেগ।
ঢাকী উৎসবের মাধ্যমে সানরাইজ চায় ঢাকীদের সম্মানিত করতে, যারা এই উৎসবের আসল পরিবেশ গড়ে তোলেন।অনেকশিল্পীর একত্র পরিবেশনা একটি অসাধারণ মুহূর্ত তৈরি করবে। এই পরিবেশনা আবারও প্রমাণ করলো, সানরাইজ কীভাবে বাংলার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা ও সম্মান জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আর ঢাকের ছন্দকে পরিণত করছে মর্যাদার প্রতীকে।” তন্ময় বোস, বিশ্বখ্যাত পারকাশন শিল্পী, বললেন, “আইটিসি সানরাইজ ঢাকী উৎসবের অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।এতজনঢাকীকে একসাথে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জীবনের এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। সবচেয়ে আনন্দের বিষয়, এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্পীরা অবশেষে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পেলেন, আর তৈরি হলো এমন এক মুহূর্ত, যা বাংলার পুজোর প্রাণকে উদযাপন করছে।” পদ্মশ্রী গোকুল ঢাকী যোগ করলেন, “আমাদের ঢাকীদের কাছে পুজোই জীবন। আমাদের শিল্পকে এমন পরিসরে, এতটা বৃহৎ প্রেক্ষাপটে সম্মান জানানো হয়েছে—এ এক অবর্ণনীয় আনন্দ। সানরাইজের এই উদ্যোগ নিশ্চিত করবে, ঢাকের ছন্দই বাংলার সংস্কৃতির আসল স্পন্দন হয়ে চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।”সানরাইজের এই উদ্যোগ অসাধারণ।এই অভূতপূর্ব উদ্যোগের মাধ্যমে সানরাইজ শুধু একটি উৎসবের সুর তৈরি করেনি, বরং নির্মাণ করেছে এক নতুন সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার—যেখানেবাংলারঐতিহ্যকেসম্মান, শিল্পীদের মর্যাদা এবং বাংলার উৎসবের প্রাণচাঞ্চল্যকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করা হলো।গত কয়েক বছর ধরে সানরাইজ ধারাবাহিকভাবে এমন সব উদ্যোগ নিয়েছে, যা বাংলার সাংস্কৃতিক গৌরব উদযাপন করে।
গত কয়েক বছর ধরে সানরাইজ ধারাবাহিকভাবে এমন সব উদ্যোগ নিয়েছে, যা বাংলার সাংস্কৃতিক গৌরব উদযাপন করে। যেমন-বাংলার প্রথম মহিলা পুরোহিতকে দিয়ে দুর্গাপূজা আয়োজন, কিংবা 'দুর্গতিনাশিনী' ক্যাম্পেনের মাধ্যমে মহিলাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া। এ বছর ঢাকি উৎসব সেই পথকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল। একটি বাঙালি ব্র্যান্ড হিসেবে, আইটিসি সানরাইজ শুধু একটি মশলার ব্র্যান্ড নয়, এটি বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, খাদ্য সংস্কৃতি এবং নারীশক্তির প্রতি শ্রদ্ধার এক প্রতীক।