জাল করে সম্পত্তি হাতিয়ে মারধর ও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া অভিযোগ!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : বৃদ্ধা মায়ের সই জাল করে সম্পত্তি হাতিয়ে মারধর ও তাড়িয়ে দেওয়া অভিযোগ ,ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জে।স্বামী গত হওয়ার পর বৃদ্ধা থাকেন তার এক ছেলে এবং বৌমার সঙ্গে। কিন্তু রাতারাতি ভুল বুঝিয়ে সই জাল করে বাড়ি, সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে অভিযোগ করে ছেলে এবং বৌমা মিলে মারধর, অশান্তি এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। অবশেষে থানায় অভিযোগের পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হলো বৃদ্ধা। বৃদ্ধার আবেদন স্বামীর বাড়ি ও সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার। ছেলের বিরুদ্ধে মাকে তাড়িয়ে দিয়ে বাড়ি ও সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, বৃদ্ধার নাম মিনতি দে, তার বাড়ি নজরগঞ্জ সমাজ বাড়ি এলাকায়। তার দুই ছেলে বৌমা নাতি-নাতনি এবং স্বামীকে নিয়ে সংসার ছিল। কিন্তু স্বামী মারা যাওয়ার আগে বাড়ি এবং সম্পত্তি সমস্ত তিনি তার স্ত্রীর নামে লিখে দিয়ে যান। বৃদ্ধা মিনতি দের অভিযোগ, এরপরই বড় ছেলে বাড়ি ছেড়ে দেয়। ছোট ছেলে সুশান্ত দে ও বৌমাকে নিয়ে তিনি থাকতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে বৃদ্ধাকে ভুল বুঝিয়ে বাড়ি ও সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নেয় ছোট ছেলে সুশান্ত দে। এরপরই বিভিন্ন কারণে-অকারণে বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে ছেলে এবং বৌমা। বৃদ্ধার এও অভিযোগ বহুবার তাকে মুখ চাপা দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টাও করা হয়। ব্যাংকের একাউন্টে টাকা, সোনার গহনা পত্র বিভিন্ন সময় ব্যবসার নাম করে নিয়ে আর ফেরত দেয়নি তার ছেলে। পাশাপাশি বৃদ্ধাকে আলাদা থাকতে বাধ্য করেন এবং তিনি তার বিধবা ভাতার টাকা দিয়ে কোনোক্রমে দুমুঠো খেয়ে পড়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। এরপরই ওই মিনতি দেবী তার ছেলে বৌমার নামে মারধরের অভিযোগ নিয়ে থানার পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি অভিযোগ করেন, যে তাকে ভরণপোষণ দিতে হবে এবং এরই সঙ্গে তার স্বামীর সম্পত্তি যেটা তার কাছ থেকে জোর করে নিয়ে নিয়েছে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। বৃদ্ধার আইনজীবী সমরেশ চক্রবর্তী বলেন, তারা এই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। যাতে ওই বৃদ্ধা তার স্বামীর সম্পত্তি ফিরে পায় তার আবেদনই করবেন তারা।