শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে লেখা হল 'চোর', ভাঙা হল কাচ!
নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। মন্ত্রীর গাড়ি এবং সঙ্গে থাকা দু’টি পাইলট কারের কাচ ভেঙে দেন পড়ুয়ারা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে নামলে ব্রাত্য বসুকে লক্ষ্য করে ওঠে ‘চোর-চোর’ এবং ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন এয়ার থিয়েটারে ছিল ওয়েবকুপার বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দেন ব্রাত্য বসু। এদিকে এদিন বৈঠক শুরুর আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছিল উত্তেজনাময় পরিস্থিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এসএফআই, আইসা, ডিএসএফ (ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস ফ্রন্ট) –এর সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। এই বিক্ষোভ নিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, “এই গুন্ডামি চলতে পারে না। পড়ুয়াদের চার জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে পারি। কিন্তু সবাই মিলে গুন্ডামি করলে মুশকিল। তবে আমি কোনও প্ররোচনায় পা দেব না। যাঁরা এগুলি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উপাচার্য পদক্ষেপ করবেন”। যাদবপুরের অধ্যাপক তথা ওয়েবকুপার সদস্য ওমপ্রকাশ মিশ্রকেও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভরত ছাত্রদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি আরও দুই অধ্যাপকের তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করা হয়েছে। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ, ভাঙচুরে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় ক্যাম্পাসে। অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর কনভয়ে থাকা একটি গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। গাড়ির উপর উঠে পড়েন ছাত্ররা। গাড়িতে ইট ছোড়া হয়। এই পরিস্থিতে ব্রাত্য বসুর গাড়ি ক্যাম্পাস থেকে বেরোনোর চেষ্টা করতেই উল্টো দিক থেকে বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রীর গাড়ির গায়ে চাপড়াতে থাকে। কিছু পড়ুয়া গাড়ির নীচে শুয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, ইন্দ্রানুজ সে সময়ে গাড়ির উপর উঠে পড়েন। এ দিকে এত ধাক্কাধাক্কিতে কোনও ভাবে গাড়ি থেকে তিনি পড়ে যান, রক্তাক্ত হন।