ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকা পেলেন স্ত্রী এবং মেয়ে!
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া ব্লকের মালিঞ্চা গ্রামের নৃপেন্দ্রনাথ নায়েক ২০১৫ সাল থেকে গোপীবল্লভপুর ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসের (Gopiballavpur CCC) মিটার রিডার পদে কর্মরত ছিলেন। নৃপেন্দ্রনাথ দুর্ঘটনা জনিত কারণে ২০১৯ সালে মারা যান। বাবার ঈ.পি.এফ এর টাকা পাওয়ায় জন্য কন্যা সুনন্দা নায়েক প্রথমে মেদিনীপুর জেলা EPFO অফিসে এবং পরে হাওড়া রিজিওনাল অফিসে আবেদন করেন । সুনন্দা আমাদেরকে জানান বহুবার EPFO হাওড়া রিজিওনাল অফিসে আবেদন করা সত্ত্বেও আমরা কোন টাকা পাচ্ছিলাম না।ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নানান সাফল্যর কথা আমরা সমাজ মাধ্যমে দেখে আমাদের ব্লকের "অধিকার মিত্র" রীতা দাস দত্ত এর সাথে যোগাযোগ করি।সুনন্দার লিখত আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বৎসরের এপ্রিল মাসে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ একটি প্রি লিটিগেশান মামলা রুজু করেন। নোটিস করে ডেকে পাঠানো হয় কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের হাওড়া রিজিওনাল অফিস কর্তৃপক্ষকে । মোট তিনটি শুনানির মধ্যেই নৃপেন্দ্রনাথ নায়েকের স্ত্রী ঝুনু নায়েক এবং কন্যা সুনন্দা নায়েক প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৪১৪৯৮/- টাকা , প্রভিডেন্ট ফান্ডের দুর্ঘটনা জনিত কারনে মৃত্যুর বীমার ১২৯৫৬৩/- টাকা,পেনশানের আগে মৃত্যুর কারনে পেনশনের ১২৮৪০ /- টাকা দুজনে মিলে মোট ৩,৬৭,৮০১ /- টাকা একাউন্টের মাধ্যমে পান।মঙ্গলবার মামলার নিস্পত্তি করেন ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক রিহা ত্রিবেদী। বিচারক জানান ঝাড়গ্রাম জেলা বাসির আইনি যেকোনো সমস্যার বিনামূল্যে পরামর্শ এবং আইনি সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা সচেষ্ট আছি।কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে আবেদনকারী সুনন্দা নায়েক জানান আমাদের ছয় বৎসরের সমস্যার সমাধান আবেদনের চার মাসের মধ্যেই সমাধান হলো , আমরা ৩, ৬৭, ৮০১/- টাকা পেয়ে গেছি , ধন্যবাদ জানাই ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের বিচারক মেডামকে।