ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজবাড়ির ছাদ ভেঙে পড়লো !
নিজস্ব সংবাদদাতা : এটাই ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের ঐতিহ্য। জৌলুস পরাজিত হলেও রাজপরিবারের উত্তরসূরিরা শৃংখলাহীন নয়। ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বড় মেয়ে রানি রূপমঞ্জরি দেবী থাকেন কলকাতায় এবং ছোট মেয়ে থাকেন ওড়িশার কটকে। রানী নিজে কলকাতায় থাকলেও পারিবারিক কাজে ঝাড়গ্রামে আসতেন। বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের পুরনো মল্লদেব প্রাসাদের দোতলার ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। বর্তমান নতুন রাজবাড়ির পেছনে রয়েছে ২১৫ বছরের পুরনো দোতলা রাজবাড়ি। শতাব্দীপ্রাচীন প্রাসাদের দোতলার ছাদ ধসে পড়ায় একতলার ছাদের একাংশও ধসে পড়েছে। এর নিচে চাপা পড়ে আছে বহু মূল্যবান আসবাবপত্র। রাজপরিবারের অনেক পুরনো জিনিসপত্র। কিন্তু পুরনো প্রাসাদে কেউ থাকে না। ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ১৫৭০ খ্রিস্টাব্দে, রাজপুতানার সর্বেশ্বর সিং চৌহান ঝাড়গ্রামের জঙ্গলি মাল রাজাকে পরাজিত করেন এবং মল্লদেব রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। নরসিংহ মল্লদেব ছিলেন মল্লদেব বংশের শেষ রাজা। তাঁর শাসনামলে, মুসলিম গথিক শৈলীতে একটি নতুন প্রাসাদ ১৯৩০ সালে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বাকি জীবন, নরসিংহ নতুন প্রাসাদের পিছনে পুরানো প্রাসাদের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে থাকতেন। নতুন প্রাসাদের পিছনে লুকিয়ে আছে ২১৫ বছরের পুরনো দ্বিতল চুনসুরকি প্রাসাদ, যার একটি খিলান ছাদ রয়েছে। ১৯৩০ সালে নতুন প্রাসাদ নির্মিত হওয়ার পর, পুরানো প্রাসাদটি জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এখন, নরসিংহের দুই নাতি, প্রাক্তন মেয়র দুর্গেশ মল্লদেব এবং তাঁর ভাই জয়দীপ মল্লদেব নতুন প্রাসাদে থাকেন। নতুন প্রাসাদের অভ্যন্তরটি এখনও জনসাধারণের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য নয়। রাজপরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৬ সালের ১১ নভেম্বর নরসিংহের মৃত্যুর পর পুরনো প্রাসাদটি আর ব্যবহার করা হয়নি। পুরানো প্রাসাদ, যার ছাদ ধসে পড়ে, সেটি ১৮১০ সালে নির্মিত হয়েছিল। নরসিংহের প্রপৌত্র এবং দুর্গেশ মল্লদেবের ছেলে উত্তরসূরি বিক্রমাদিত্য মল্লদেব বলেন, "পুরানো প্রাসাদের দ্বিতীয় তলার ছাদ আজ দুপুর ২টার দিকে ধসে পড়ে। সেখানে কেউ বাস করে না। এই প্রাসাদের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা প্রাচীন জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।