শিক্ষারত্ন সুব্রত মহাপাত্রের উদ্যোগে শিক্ষামিত্র ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী উদ্বোধন!
ঝাড়গ্রাম নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক দিবসের দিনে এক মহতী উদ্যোগের সূচনা হলো ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর -২ নং ব্লকের বেলিয়াবেড়া কে সি এম হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক, শিক্ষারত্ন সুব্রত মহাপাত্রের উদ্যোগে। শুক্রবার বিকেলে সুব্রতবাবুর উদ্যোগে যাত্রা শুরু করলো 'শিক্ষামিত্র ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার'। শুক্রবার বিকেলে বেলিয়াবেড়ায় গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে টোটোতে থাকা এই ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মরান্ডী।গোপীবল্লভপুর ব্লক প্রশাসনিক ভবন চত্বরে অবস্থিত বীর দিশম সভাকক্ষে আয়োজিত এদিনের অনুষ্ঠানে সূচনা হয় রাধাকৃষ্ণাণের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে।
এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাক্তন ডি আই ড. মধুপ দে, বিডিও নীলোৎপল চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুমন সাহু, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বকুল খামরী,জেলা পরিষদের মেন্টর স্বপন পাত্র, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শর্বরী অধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ টিংকু পাল, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বীরেন পাল,'শিক্ষারত্ন' পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন পড়িয়া, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুখেন্দু বিকাশ দন্ডপাট,অধ্যাপক ড.সুশান্ত দে, শিক্ষক অমিত কুমার সাহু, শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া, শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায়, শিক্ষক নরসিংহ দাস, শিক্ষক হেদায়েতুর খান সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।এই টোটোতে করে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার সপ্তাহে কমপক্ষে দুদিন বিভিন্ন গ্রামে ঘুরবে। সুব্রত বাবু জানান, গ্রামের বয়স্ক নাগরিকদের অবসরকালীন সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে এই গ্রন্থাগার। পাশাপাশি পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে আরো বেশি করে বই এর জগতে ফিরিয়ে আনবে এই গ্রন্থাগার। উপস্থিত সকলে সুব্রত বাবুর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষক অখিল বন্ধু মহাপাত্র।