ঝাড়গ্রাম বিচারকের নির্দেশে জীবন বীমার ক্লেমের টাকা পেলেন স্ত্রী এবং পুত্র!
নিজস্ব সংবাদদাতা : এক বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন কিন্তু সেই ক্ষত এখনও সারেনি ঝাড়গ্রাম থানার খয়রাকাটা গ্রামের এলাকার বাসিন্দা করুনা বারিকের। শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বামী ধোনিলাল বারিকের ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ধোনিলাল এল আই সি এর দুটি জীবন বীমার পলিসি কিনেছিলেন , একটিতে নমিনি ছিলেন স্ত্রী করুনা এবং অপরটিতে ছেলে সুদীপ। ছেলে সুদীপ বারিক বাবার মৃত্যুর পরে এল আই সি অফিসের ঝাড়গ্রাম শাখায় ডেথ ক্লেমের সমস্ত নথী জমা করা সত্ত্বেও এবং বুহুবার ইন্সুরেন্স অফিসে গিয়েও কোন লাভ হয় না ।তারপর ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নানান কাজকর্ম সমাজ মাধ্যমে দেখে যোগাযোগ করেন ঝাড়গ্রাম বেলিয়াবেড়া ব্লকের "অধিকার মিত্র" রীতা দাস দত্তের সাথে। ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের কাছে লিখিত আবেদন জানান সুদীপ এবং করুনা দুজনেই । লিখিত আবেদনের ভিত্তিতেই রুজু হয় প্রী লিটিগেশান মামলা। মামলা শুনানির আগের দিনই করুনা মেসেজ পান স্বামীর ক্লেমের ১০০১৪০/- টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছে । মামলার শুনানির দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ছেলে সুদীপও মেসেজ দেখেন বাবার ক্লেমের ১১১৪০০/- টাকা একাউন্টে জমা হয়েছে। মঙ্গলবার মামলার নিস্পত্তি করেন বিচারক। সুদীপ বলেন বাবার ক্লেমের টাকা পাওয়ার জন্য বুহুবার এল আই সির ঝাড়গ্রাম শাখা অফিসে গিয়েছি , ব্রাঞ্চ মেনেজারকেও লিখিত আবেদন জানিয়েছি কিন্তু কোন সুরাহা পাইনি উপরন্তু ইন্সুরেন্স কতৃপক্ষ আমাদেরকে ডিভিশন অফিসে চলে যেতে বলেছিলেন। হটাৎ একদিন সমাজ মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের বিনা মূল্যে নানান পরিষেবা গুলো লক্ষ করি, যোগাযোগ করি প্রতিনিধির সাথে, আজকে আমাদের দীর্ঘ এক বছরের সমস্যার সমাধান আবেদন জানানোর এক মাসের আগেই সমাধান হয়ে গেলো।