খড়্গপুর জনজাগরণ কমিটির প্রতিবাদ সভা!

অরিন্দম চক্রবর্তী : কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ছমাস বন্ধ থাকার পর খড়গপুর পাঁচবেড়িয়ার সন্নিকটে রেশমি মেটালিকসের ৮ নম্বর গেট খুলে গেলো ২রা আগস্ট । এর প্রতিবাদে জনজাগরণ কমিটি ৩রা আগস্ট ইউনিটের গেট সংলগ্ন বোম্বে রোডের ধারে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভা করেন। কমিটির দাবি পাঁচবেড়িয়া সংলগ্ন ও আলিপুর মৌজা ও খড়্গপুর শহর গ্রামীণ সংলগ্ন জনবহুল এলাকায় রেশমি গ্রুপের লাল তালিকা ভুক্ত কোন নতুন কারখানা নির্মাণ করা যাবে না এবং রেশমি গ্রুপের সমস্ত চালু কারখানা থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে তা অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এই মানুষ মারা কারখানা বন্ধ করতে হবে। কমিটির পক্ষে এদিন বক্তব্য রাখেন সম্পাদক মেহেবুব আলী খান। শিক্ষক রাধাপদ দাস বলেন, আগামী দিনেও দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে এবং কমিটির সদস্যদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানো যাবে না।

খড়গপুর দূষণ প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে দেবাশীষ দে বলেন, দূষণের কারণে খড়গপুরে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেশি। রেশমির ভয়াবহ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। মানবিক মানুষদের আমাদের কমিটিতে আসা উচিত। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিলকিস খানম বলেন আমাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষকে চিমনি স্থাপন থেকে বিরত রাখব। খড়গপুর কলেজের অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন আমরা কোম্পানি বন্ধের জন্য প্রতিবাদ করছি না, আমরা কারখানা থেকে নির্গত দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। কাউন্সিলর মধুকামী বলেন টাকার জন্য এই প্রতিবাদ বন্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে।

জনগণকে জাগ্রত হতে হবে, তবেই জনসচেতনতামূলক কমিটির সদস্যরা সফল হবেন। খড়গপুর দূষণ প্রতিরোধ কমিটির নেতা এবং একজন বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অনিল দাস বলেন টাটা মেটালিক্স বা বিয়ারিংয়ের জন্য কোনও লড়াই হয়নি। তারা হাইকোর্টে গিয়ে আমাদের হুমকি দিচ্ছে, আজ সভা করে আমরা প্রমাণ করছি যে আমরা ভীত নই। আমরা কোনও অবস্থাতেই এখানে সিল্ক চিমনি বসাতে দেব না। আমরা খড়গপুর শহরের প্রতিটি কোণে সকলকে এই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করব। শেখ ইমরান, হাবিবুর রহমান, শেখ সাইজাদ, আসলাম আহমেদ সহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।