ঝাড়েশ্বর মন্দির গাজন মেলা!

ধুতরার ফুলে তুষ্ট আমার সন্ন্যাসী নাগর॥
কালীদহে তুল্লাম ফুল জাহ্নবীতে ধুলাম।
গঙ্গাজলে শুদ্ধ ফুল গাজনে আনিলাম॥

অপূর্ব মজুমদার : বাঙালি মেতে ওঠে গাজন উৎসবে। কেউ কেউ বলেন, ‘গর্জন’ শব্দ থেকে ‘গাজন’। অন্য মত হল, গাঁয়ের জনের উৎসব। হিন্দু সমাজের ঐতিহ্যানুযায়ী চৈত্র মাস হল শিব-পার্বতীর বিবাহের মাস। এই মাসেই তাই গাজনের ধুম। খড়গপুর শহরের পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ঐতিহাসিক ঝাড়েশ্বর মন্দিরে গাজন উৎসব। প্রতি বছরের মত এবছর গাজন মেলা বসেছে। আছেন অনেক ভক্তা। অনেক সংযম পালনের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে তাঁদের। বেশ কদিন ধরে চলছে 'ঝুলন'। হাজার হাজার পুনার্থী 'নীল' এর পুজো করেছেন। রয়েছে নাগরদোলা, ড্রাগন রেল সহ অনেক ধরনের আনন্দ রাইড, বিভিন্ন দোকান, মিষ্টি, পাপড়, ঘুগনি।গাজনের শেষ দিনের অনুষ্ঠান চড়ক। চড়ক এক শ্রেণির হিন্দুর প্রধান উৎসব। গ্রামদেশে কৃষক, কারিগর, জেলে, মালো, হাঁড়ি, মুচি, বাউরি ও বাগদি-কৌম সমাজের এই বিরাট অংশ এ সময় শিবোপাসনার অধিকারী হন। গাজনের উৎসব মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত ঘাট সন্ন্যাস, নীলব্রত ও চড়ক। দীর্ঘদিন উপবাস করে শিবের পুজোর ফুল সংগ্রহ করে প্রতীকী শিবলিঙ্গ কে মাথায় করে ঢাকঢোল কাঁসর বাজিয়ে পরিক্রমায় বের হয় ভক্ত সন্ন্যাসীরা। গাজনের সময় ভক্তরা নানা উপায় শরীরে যন্ত্রণা দিয়ে দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য শোভাযাত্রা করে মন্দিরের উদ্দেশ্যে বের হয়।

#Kharagpur #Mahadev #Newsfeed #Biplabisambaddarpan