খড়্গপুরের মালঞ্চ বালাজি মন্দির পল্লী এলাকায় মহিলার গলা থেকে সোনার হার ছিনতাই অভিযোগ!
অরিন্দম চক্রবর্তী : ভরসন্ধ্যায় এক মহিলার গলা থেকে সোনার হার ছিনতাই হলো খড়্গপুরের মালঞ্চ বালাজি মন্দির পল্লী এলাকায়। পূর্ণিমা চৌধুরী নামে মালঞ্চ বালাজি মন্দির পল্লীর বাসিন্দা এক মহিলা সন্ধ্যায় হেঁটে স্বামী দেবীপ্রসাদ চৌধুরী ও এক পড়শির সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি থেকে দেড়শো মিটার দূরে একটি বহুতলের সামনে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ পিছন থেকে স্কুটিতে চেপে দুই যুবক আসে। পূর্ণিমা দেবীর গলা থেকে দেড় ভরি সোনার হার ছিনতাই করে দ্রুত এলাকা থেকে চম্পট দেয়। ভরসন্ধ্যায় জনবহুল এই এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা আশেপাশের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা শুরু করে।পূর্ণিমা দেবী বলেন, প্রতিদিনই তাঁরা বিকেল পাঁচটা নাগাদ হাঁটতে বেরোন। ঘন্টাখানেক বাদে বাড়ি ফিরে আসেন। এদিনও হাঁটার পর তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এই ছিনতাই হয়। তিনি জানান, স্কুটিতে চাপা পিছনের যুবক সোনার হারটি ছিনিয়ে নেয়। ওই যুবকের পরনে ছিল সাদা শার্ট। বাইক চালকের পরনে ছিল কালো চেক শার্ট। স্কুটিটি গাঢ় নীল রঙের। এদিনের ঘটনার পর তারা রীতিমতো আতঙ্কিত। পূর্ণিমা দেবী প্রশ্ন তোলেন, খড়্গপুরের তাঁদের মতো সিনিয়র সিটিজেনদের নিরাপত্তা কোথায়?এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপক কুমার দাশগুপ্ত বলেন, আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। শহরের নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হোক বলে দাবি তোলেন । তিনি বলেন-আগে মহিলাদের একটি বিশেষ বাহিনী ও সাদা পোশাকের পুলিশ সন্ধ্যেবেলা ঘুরে বেড়াতো। নিরাপত্তার খাতিরে তাদের ফিরিয়ে আনা হোক বলে আবেদন করেন। এদিকে শেষ খবর পর্যন্ত জানা গেছে দুষ্কৃতকারীদের এখনো পুলিশ ধরতে পারেনি।