নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগ উঠেছিল, ডিআই মানেননি জেলা শাসকের নির্দেশও!
পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদাতা : নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জানিয়েছিলেন সমাজসেবী দীপককুমার দাশগুপ্ত। জেলা শাসকের নির্দেশে স্কুল শিক্ষা দফতর। শিক্ষা মিশন স্কুলে শিক্ষা দফতরের তদন্তকারী দুই অধিকারিক ফিরে গিয়ে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন। ডিআই সেই প্রাথমিক রিপোর্ট "বিকাশ ভবন" স্কুল শিক্ষা কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে দেন।ওই প্রাথমিক রিপোর্টের কোথাও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক চন্ডীচরণ ত্রিপাঠীকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়নি।প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, তিনি কোনো দুর্নীতি করেননি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন দীপককুমার দাশগুপ্ত এবং সম্মানহানীর জন্য তিনি টাকা দাবি করেন। তারপর চন্ডীচরণবাবু মামলা করেন। কিন্তু নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ আদালতের সামনে পেশ করতে পারেননি। ফলে মামলা খারিজ হয়ে যায়। তদন্ত চলাকালীন দীপকবাবু জেলা শাসকের পাবলিক গ্রিজ্যান্স সেলে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শাসক ডিআইকে ২০২১ সালের ২০ই ডিসেম্বর দীপকবাবুর করা পিটিশনের ভিত্তিতে যথাযথ তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য (Right to Information)RTIকে নির্দেশ দেন। RTI জবাব দশ দিনের মধ্যে সময়সীমা বেঁধে দেন জেলা শাসক। কিন্তু ডিআইয়ের সময় পাইনি বা গুরুত্ব দেননি এবং ডিআই তদন্ত করে দীপকবাবুকে জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। দীপকবাবু বারংবার ডিআই মনে করিয়ে ছিলেন ফোন করে । কিন্তু ডিআই নড়েচড়ে বসেননি। ২০২০ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিআই হিসেবে সংযুক্ত গ্রহণ করেন স্বপন সামন্ত। তিনি প্রথমে বলেন ফাইল পাওয়া আচ্ছে না। পরে ফাইল পাওয়া গেলে ও কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। ফের ২০১৪ সালে থেকে সমস্ত প্রমাণ কাগজ দীপকবাবু জমা করলেন RTI করে । নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ আড়াল করলেন ডিআই। রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের অবসরকালীন আর্থিক টাকা পাইয়ে দিলেন। এখন প্রশ্ন হয়ছে কি করে প্রধান শিক্ষক পেনশন পেয়ে গেলেন, তার বিরুধ্যে অনেক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে দীপকবাবুর এই অভিযোগ সব কিছু ই জানিয়েছেন। তাই জন্য গত মাসে অথাৎ ডিসেম্বর মাসে কলকাতার শিক্ষা দপ্তর থেকে তদন্ত কর্মকর্তারা এসেছিলেন রিপোর্ট জন্য। এবার শীতঘুম থেকে উঠছেন ডিআই বাবু ।এবার তড়িঘড়ি ওই তদন্ত প্রতিবেদন বা রিপোর্ট করতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন। তিনি বুঝতে পারছেন কি ভুলটাই না করেছেন। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও এখন দেখা যাক জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআই শেষ পর্যন্ত কি করে?