খড়গপুরের মানুষ চাইছে - আমাদের সন্তানরা কি দূষণমুক্ত পরিবেশে ভালো ভাবে বাঁচতে পারবে না?

নিজস্ব সংবাদদাতা : আমাদের সন্তানরা কি ভালো ভাবে বাঁচতে পারবে না? খড়গপুরে শীত এলে বায়ু থেকে শ্বাস নেওয়া শিশুদের জন্য এক কষ্টের দিন হয়ে উঠছে। রেশমি কোম্পানির কালো ধুলো সাথে সিলিকন বাচ্চা ও বড়োদের শরীরে ঢুকছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের শর্দি, কাশি, জ্বর ,শ্বাসকষ্ট নিয়ে বড়ো হতে হচ্ছে। মাসে ২-৩বার করে বাচ্চাদের এলার্জিতে শরীর খারাপ, ডাক্তারের কাছে ছুটতে হচ্ছে। ঘর বন্ধ থাকলেও হাওয়া উড়তে থাকা ধুলো ঘরের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে।

নিম্নলিখিত দাবীতে ডেপুটেশন

বাচ্চা থেকে বড়ো সকলের চামড়া এলার্জি দেখা দিচ্ছে। দিল্লির দূষণ নিয়ে দেশের মধ্যে আলোচনা হয়, কিন্তু খড়গপুর শহরের দূষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ জন প্রতিনিধিরা নিশ্চুপ। ঘরের পিছনে ও পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অসুস্থতায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট ও দূর্ভোগ ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের মায়েদের।আজকে মায়েদের পক্ষ থেকে কাঞ্চনা রায়, শেহনাজ খাতুন, বর্ণালী মহাপাত্র, অম্বিকা দাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ মায়েদের এক প্রতিনিধি দল খড়গপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কড়া ব্যবস্থার দাবীতে মহকুমা শাসক সুরভী সিংলাকে নিম্নলিখিত দাবীতে ডেপুটেশন দেয়।
১)শীত এলেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে রেশমি কোম্পানিকে ব্যবস্থা গ্ৰহন করতে হবে।
২) কোম্পানি থেকে কালো সিলিকন ধুলো আসছে তার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করিয়ে তার রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে মহকুমা শাসককে।
৩)দূষণ মাপক যন্ত্র AQI মেশিন এই ক্ষতিগ্ৰস্ত এলাকায় লাগাতে হবে।
আজ মহিলা প্রতিনিধিরা মহকুমা শাসককে দূষণের প্রভাব বোঝাতে কালো ডাষ্ট, বাচ্চাদের ডাক্তারদের নাম ফোন নম্বর, বাচ্চাদের পায়ের কালো ছবি, গাছের পাতাল বর্তমান অবস্থা, এবং খড়গপুরের বিগত কিছু দিনের AQI তথ্য দিয়ে আসা হয়েছে। আগামীদিনে আবার
আরো বেশি সংখ্যায় মায়েরা আসবে দূষণের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আলোচনা জানতে।