খড়্গপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং খড়্গপুর অতুলমনি পলিটেকনিক হাইস্কুল উদ্যোগে ২২শে শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস পালন!
অপূর্ব মজুমদার : আজ বাইশে শ্রাবণ ৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তাঁরে স্মরণ করল খড়্গপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং খড়্গপুর অতুলমনি পলিটেকনিক(উঃ মাঃ)হাইস্কুল। সকাল থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত, পুষ্পপ্রদান, বৃক্ষরোপণের মধ্যে দিয়ে কবিকে স্মরণ করা হয়৷ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কণিষ্ক মন্ডল, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অনুপম ভাগ, এডিআই উত্তম কুমার মাজি, স্কুল সভাপতি দেবাশীষ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় ঘোষ প্রমুখ।
কণিষ্ক মন্ডল বলেন আমরা মহান কবির প্রয়াণ দিবস পালন করছি। রবীন্দ্রনাথকে আরও জানতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। সব থেকে বেশি ভালো লাগছে, ছাত্র ছাত্রীরা মন দিয়ে সবার বক্তব্য শুনেছে। অনুপম বাগ বলেন রবীন্দ্রনাথ নিজেই বলেছিলেন " আমি পৃথিবীর কবি " সত্যিই তাই। দেবাশীষ চৌধুরী বলেন ১৯০৫ সালে বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা হয়েছিল। পথে নামলেন রবীন্দ্রনাথ। রাখি পরালেন সবাইকে। রোখা গেল বঙ্গভঙ্গ। ১৯৪৭ সালে বাংলাকে ভাগ করা হলো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটো গান দুটো দেশের জাতীয় সঙ্গীত। আর কেউ কেউ বলছেন বাংলা কোনো ভাষাই না। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে শ্রেয়ান রায়, বিশ্বনাথ সরেন, সায়ন্তিকা মুখার্জি। শিক্ষিকা মৌসুমী সরকার বক্তব্য রাখলেন ' রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গানে মৃত্যুচিন্তা, মৃত্যুঞ্জয়ীতা, ও তার সার্বজনীন প্রাসঙ্গিকতা ' বিষয়ের উপর।ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অনুপম বাগের কন্ঠে " দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে " দিয়ে শুরু হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংঘমিত্রা দাস, দুর্গা বসু ভৌমিক, মোহনা আচার্য্য, রাজ কিরণ প্রমূখ দের নিয়ে গীতিআলেখ্য শুরু হলো মোহনা আচার্য্যর কন্ঠে " তুমি রবে নীরবে " দিয়ে। একে একে কাল জয়ী গান "প্রাণ ভরিয়ে, তৃষা হরিয়ে ", একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ প্রাণেশ হে ", আবৃত্তি, নৃত্যে কেটে গেল প্রায় ৪০ মিনিট। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মলয় জানা।