ভ্রূণের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়, খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির গুরুতর অভিযোগ!

নিজস্ব সংবাদদাতা :  খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে একটি ভ্রূণের মৃত্যুর ঘটনা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কর্তব্যরত নার্সদের বিরুদ্ধে চরম অবহেলা এবং অমানবিক আচরণের অভিযোগ এনে পরিবার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।পরিবারের মতে, গর্ভবতী মহিলা মামনিকে ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসা পরামর্শের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু প্রসবের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানোর পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর, ২৪ ডিসেম্বর আবার প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মৃত শিশুটির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ করেছেন যে বৃহস্পতিবার সকালে মামনির অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটে।

কর্তব্যরত নার্সদের বারবার সতর্ক করার পরেও, দীর্ঘ সময় ধরে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিযোগ করা হয়েছে যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ার কারণেই ভ্রূণটি মারা গেছে। পরিবারের দাবি, পরিস্থিতির তীব্রতা ব্যাখ্যা করার সময় নার্সরা আপত্তিকর এবং অসংবেদনশীল ভাষা ব্যবহার করেছিলেন।ঘটনার পর পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতালে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়, যা কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে।

পরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ কমিটির চেয়ারপারসন হেমা চৌবে ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে পুরো ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে এবং যদি কোনও স্তরে গাফিলতি পাওয়া যায়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে, হাসপাতাল প্রশাসনের আশ্বাস সত্ত্বেও, পরিবারটি সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে অনড়। এই ঘটনা আবারও সরকারি হাসপাতালে মাতৃ এবং নবজাতকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।