খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বেশিরভাগ দিন থাকে না!

নিজস্ব সংবাদদাতা :   খড়্গপুর মহকুমার দশটি ব্লকের মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। সব মিলিয়ে অব্যবস্থার ছবি খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডক্টর ধীমান ব্যানার্জির প্রতি অসন্তোষ বেড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে।পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। খড়গপুর রিটায়ার্ড এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সদস্য দিলীপ সরখেল বলেন, সুপার ডা: ধীমান ব্যানার্জি দায়িত্বভার গ্রহণ করে হাসপাতালে চিকিৎসকদের হাজিরা নিয়ে কোমর বেঁধে নেমেছিলেন। এখন দেখা যাচ্ছে তিনিই বেশিরভাগ দিন হাসপাতালে গরহাজির থাকছেন দিলীপবাবু বলেন, সপ্তাহে দু তিন দিনের বেশি উনি হাসপাতালে আসেন না। এই নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ জানানো হলেও সুপারের উপস্থিতির হারের কোন উন্নতি হয়নি। দীর্ঘ এক মাসের কাছাকাছি তিনি হাসপাতালে আসেন না। কারো ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন সে রকমও জানা যায়নি। ফলে হাসপাতাল নিজের কাজের গতি হারিয়ে ফেলছে। অফিসে ফাইলের পাহাড় জমছে। হাসপাতালের দৈনন্দিন কাজকর্ম আটকে যাচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার অক্টোবর থেকে সুপার হাসপাতালে নেই। মাঝে দু-একদিনের জন্য কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ২৫শে অক্টোবর থেকে এখনো অব্দি তিনি হাসপাতালে গরহাজির আছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য শাস্ত্র আধিকারিক ডা. সৌম্য শংকর ষড়ঙ্গী বলেন, সুপার আউট অফ স্টেশন হলে উপরমহলে জানিয়ে যাবেন। এটাই দস্তুর। কিন্তু আমার কাছে কোন খবর নেই। ওনার অনুপস্থিতির কথা আপনার মুখেই প্রথম শুনলাম। আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হেমা চৌবে বলেন, শুনেছি সুপার হাসপাতালে নেই। ওনার না থাকার জন্য গত মঙ্গলবার প্রতিবন্ধী বিষয়ক বোর্ডের বৈঠক বাতিল করতে হয়। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না। খড়গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান রবি শংকর পান্ডে বলেন, সুপার হাসপাতালে বেশিরভাগ সময় থাকেন না, এরকম অভিযোগ আমাদের কানে এসেছে। উৎসবের মরশুম শেষ হলে আমরা ওনার সঙ্গে সরাসরি দেখা করে বিষয়টি জানাবো।