খড়্গপুর শহর যুব কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন!

অরিন্দম চক্রবর্তী : রবিবার ২৭শে এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে খড়গপুরের মালঞ্চর প্রজাপতি ঘর সভা গৃহে এক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। এদিনের বক্তব্যে তিনি বলেন কেন্দ্র-রাজ্য হিন্দু মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি করছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন কাশ্মীরে নিহত সেনা ঝন্টু শেখ এর কফিন যখন কলকাতার বিমানবন্দরে এলো তখন কোন বিজেপি নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না কারণ ওই সেনা ছিলেন একজন মুসলমান। কিন্তু আমরা জানি সৈনিকের কোন জাত হয় না। মেরুকরণের রাজনীতি বিভাজনের রাজনীতি সমাজে যে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করছে সেখান থেকে বেরিয়ে সংবিধান রক্ষার আহ্বান জানান তিনি'। এ আইসিসি সেক্রেটারি আম্বা প্রসাদ বলেন-'বাংলায় বর্তমানে যারা রাজত্ব করছেন তাদের জন্য বাংলার নিজস্ব পরিচয় হারিয়ে গেছে। এখানে কত মহাপুরুষ, শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

তখন রাজ্যের হাল কিরকম ছিল এখন কি রকম হয়েছে। এক সময় বলা হত বাংলা আজ যা ভাবে ভারত ভাবতো কাল। রাজ্যের এখন ভয়ানক অবস্থা। মুর্শিদাবাদের বর্তমান চিত্র দেখলে শিউরে উঠতে হয়। কাশ্মীরের মতো এখানেও বেহাল অবস্থা। জঙ্গি সংগঠন পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ,বাংলা তাদের নিরাপদ জায়গা। আপনারা ভাবুন এই সম্বন্ধে।'যুব কংগ্রেসের রাজ্য অবজারভার রাজেশ সিনহা বলেন-'আপনারা খোলা মাঠে আন্দোলন করুন কংগ্রেস পার্টি কম জোর নয়। কংগ্রেসের আমলেই ১৮ বছরে ভোট দেয়ার অধিকার দিয়েছিল। প্রদেশ ছাত্র পরিষদ সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী বলেন-'ছাত্র পরিষদের নতুন প্রজন্মদের সাহায্য করুন। এই জেলাতে ইউনিট খোলার ব্যাপারে তাদের পরামর্শ দিন। এ রাজ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এখন চটির তলায় চলে গেছে। মহিলা কর্মীরা প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠুন তাহলে কংগ্রেস আবার ফিরে আসবে'। এদিনের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শহর যুব কংগ্রেস সভাপতি অমিত শর্মা, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অমল দাস, কংগ্রেস নেতা দেবাশীষ ঘোষ, কাউন্সিলর মধু কামী, পারমিতা ঘোষ, অপর্ণা ঘোষ ,আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি কমল কিশোর। এদিনের সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্থ ভৌমিক, কুনাল ব্যানার্জি, শেখ নিজামুদ্দিন, জেলাঃ ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট চিরঞ্জীব ভৌমিক, জেলা সভাপতি ডঃ পাপিয়া চক্রবর্তী, অনিল শিকারিয়া, মহ: সাইফুল প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অরুময় (বাপি) সরকার।