খড়গপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটিতে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান কর্মসূচী!
অরিন্দম চক্রবর্তী : শুক্রবার, শনিবার, রবিবার অর্থাৎ ১৪ই , ১৫ই ও ১৬ই নভেম্বর ট্রাফিক সেটেলমেন্টের খড়গপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটিতে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হলো। এই অনুষ্ঠানে প্রথম দিন তিনশত ভক্তবৃন্দদের শোভাযাত্রা দিয়ে শুরু হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি ট্রাফিক এসডিও কোর্টের কাছ থেকে কমলা কেবিন পর্যন্ত যায়। রথ, ধামসা, মাদল, ব্যান্ড পার্টি, ভুল করতাল ও আদিবাসী নৃত্য সহকারে এই প্রভাত ফেরী হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন কলকাতা গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের সম্পাদক স্বামী সুপর্ণা নন্দ জি মহারাজ। সাথী ছিলেন ওই ইনস্টিটিউটের মহারাজ স্বামী বেদ স্বরূপানন্দ জি মহারাজ। এছাড়া ছিলেন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী প্রার্থনা নন্দ জি মহারাজ, গড়বেতা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সম্পাদক স্বামী একই আনন্দজী মহারাজ, বাঁকুড়া কোয়ালপাড়া রামকৃষ্ণ যোগাস্রমের মঠাধ্যক্ষ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ জি মহারাজ। এরপর বৈদিক শান্তি মন্ত্র পাঠ করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি ট্রাফিক এসডিও কোর্টের কাছ থেকে কমলা কেবিন পর্যন্ত যায়। রথ, ধামসা, মাদল, ব্যান্ড পার্টি, ভুল করতাল ও আদিবাসী নৃত্য সহকারে এই প্রভাত ফেরী হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন কলকাতা গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের সম্পাদক স্বামী সুপর্ণা নন্দ জি মহারাজ। সাথী ছিলেন ওই ইনস্টিটিউটের মহারাজ স্বামী বেদ স্বরূপানন্দ জি মহারাজ।
এছাড়া ছিলেন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী প্রার্থনা নন্দ জি মহারাজ, গড়বেতা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সম্পাদক স্বামী একই আনন্দজী মহারাজ, বাঁকুড়া কোয়ালপাড়া রামকৃষ্ণ যোগাস্রমের মঠাধ্যক্ষ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ জি মহারাজ। এরপর বৈদিক শান্তি মন্ত্র পাঠ করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন মালা মিত্র ও সাধন শিবিরের মহিলা ভক্তবৃন্দ। স্বাগত ভাষণ দেন সোসাইটির সভাপতি দিলীপ দাস। এদিন মহারাজগনের দ্বারা সুবর্ণ জয়ন্তী স্মরণিকা প্রকাশ হয়। এরপর মহারাজগনের প্রবচন পাঠ হয়। বিকেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বৃন্দের দ্বারা সংগীত পরিবেশন ও ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন হয়। পাঁচটায় প্রবচন পাঠ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ ভাব প্রচার পরিষদের উপাধ্যক্ষ স্বামী অচুত্যানন্দ জি মহারাজ। সন্ধ্যে সাতটায় জিতিয়া দেখো ও ভক্তিগীতি পরিবেশিত হয়। এদিন বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন মহাকুমার শাসক এবং মহিলা টাউন আইসি, বিআরএম এবং এডিআরএমের সহধর্মিণীরা। ১৫ ই নভেম্বর যুব সম্মেলনে অংশনেয় বিদ্যালয়ে কলেজ ও যুব সমাজের বহু যুবক। এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কলকাতা থেকে আগত স্বামী জ্ঞান লোকানন্দজি মহারাজ ও বেলুড় সারদা পিঠের স্বামী সুখ দেবানন্দ জি মহারাজ। দ্বিতীয়ার্ধে ভক্তিগীতি ধর্ম আলোচনা নৃত্য পরিবেশন ও ভজন পরিবেশিত হয়। তৃতীয় দিন অর্থাৎ সমাপ্তি অধিবেশনে ছিল বিকাল ৪:০০ টায় ভক্তি মূলক সংগীত ও গীতি আলেখ্য, প্রবচন ও কালী কীর্তন পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে কয়েক হাজার ভক্ত প্রসাদ গ্রহণ করেন বলে জানালেন সোসাইটির সম্পাদক প্রভাত কিরণ হালদার এবং সভাপতি দিলীপ দাস।