খড়্গপুর আইআইটির ৬৯তম সমাবর্তনে যোগ দিতে দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী সোমবার এসেছিলেন প্রতিষ্ঠানে!
পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : খড়্গপুর আইআইটির ৬৯তম সমাবর্তনে যোগ দিতে দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী সোমবার এসেছিলেন প্রতিষ্ঠানে। তবে কথা থাকলেও আসতে পারেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য সরকারের তরফে মঞ্চে রাষ্ট্রপতির পাশে ছিলেন মানস ভুঁইয়া, আইআইটি-র ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি, পরিচালন বোর্ডের চেয়ারম্যান টিভি নরেন্দ্রন প্রমুখ। এ বার স্নাতক, স্নাতকোত্তর, গবেষক-সহ ৩২০৫জন উত্তীর্ণ পড়ুয়ার হাতে ডিগ্রি তুলে দেওয়া হয় সমাবর্তনে। ১৩জন পড়ুয়াকে সম্মানিক করা হয় স্বর্ণপদকে। তাঁদের মধ্যে ৩জন ছাত্রী।সব মিলিয়ে এ দিন ডিগ্রিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬৭৪জন ছাত্রী ছিলেন। সেই মঞ্চেই রাষ্ট্রপতি বলেন, “আজকে ডিগ্রি প্রাপ্ত ৩২০৫জন ছাত্র-ছাত্রীকে তাঁদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমি জানতে পেরেছি আজ ডিগ্রি প্রাপ্তদের মধ্যে ২১শতাংশ ছাত্রী। তাঁদের বিশেষ শুভেচ্ছা জানাই। আমি বিশ্বাস করি একটি সুস্থ ও শক্তিশালী সমাজের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণ আবশ্যক।” একই সঙ্গে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির লক্ষ্যে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার বার্তা দেন তিনি। রাষ্ট্রপতির কথায়, “আইআইটি ৭৩বছরের যাত্রাপথে অনেক অনন্য প্রতিভার জন্ম দিয়েছে। দেশের উন্নয়নে আপনাদের অবদান তুলনাহীন। আপনাদের যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অবদানের প্রশংসা করার পাশাপাশি আমি আশা করি আপনারা সারা দেশের নতুন প্রতিষ্ঠানকে দিশা দেখাবেন।” কৃতী পড়ুয়াদের মানবতার স্বার্থে কাজ করার আহ্বানও জানান রাষ্ট্রপতি।রাষ্ট্রপতি বলেন, আইআইটি খড়গপুর ভারতের বৃহত্তম 'গ্রিনফিল্ড' ক্যাম্পাস। আজকে ডিগ্রী প্রাপ্ত 3205 জন ছাত্র-ছাত্রীদের আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমি কামনা করি যে আপনারা সর্বোচ্চ শিখর স্পর্শ করেন। আমি দেখেছি যে আজ ডিগ্রী প্রাপ্তদের প্রায় 21 শতাংশ মেয়ে। আমি তাকে বিশেষ অভিনন্দন জানাই। আমি বিশ্বাস করি একটি সুস্থ ও শক্তিশালী সমাজের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আজ, আমি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং লাইফ ফেলো অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত সকল ব্যক্তিত্বকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই সম্মান বিজ্ঞান, শিক্ষা এবং গবেষণার প্রতি আপনার উত্সর্গের প্রতীক। আমি বিশ্বাস করি একটি সুস্থ ও শক্তিশালী সমাজের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণ প্রয়োজন।