মাঝরাস্তা থেকে আর জি কর কলেজ ও হাসপাতালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ধরলো সিবিআই!

নিজস্ব প্রতিবেদন : মাঝরাস্তা থেকে আর জি কর কলেজ ও হাসপাতালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ধরলো সিবিআই। সল্টলেক থেকে পাকড়াও করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ গত কয়েক বছরে উঠেছে। একাধিকবার আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেও কোনও এক অদৃশ্য কারণে তাঁকে পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে আর জি কর কলেজ ও হাসপাতালে যা ঘটে, তার পর আর পদ বাঁচাতে পারেননি সন্দীপ। যদিও এরপর ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করেছিল স্বাস্থ্যভবন। তবে হাইকোর্টের গুঁতোয় সে পদে আর বসা হয়নি। ছুটিতে চলে যেতে হয়েছে। আর এবার সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। সন্দীপের আইনজীবী বলেন, নিরাপত্তা চাই। শুনেই প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্যকে বলুন নিরাপত্তা দিতে। আপনি তো প্রভাবশালী। ৫০০ পুলিশ দিয়ে দেবে। না হলে আদালতের কাছে আসুন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না হয় আপনার বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু হাজিরা দেননি সন্দীপ। বরং আজ স্বাস্থ্যভবনে যান। সেখানে ঘণ্টাখানেকের মতো ছিলেন। সেখান থেকে বেরোনোর পরই মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে চলে গিয়েছে সিবিআই।

আর এবার তাঁরই বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন তাঁর প্রতিবেশীরাও।একসময় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের মল্লিক বাগানে থাকতেন তিনি। সেখানে নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করতেন। চেম্বারও করতেন। কাজেই পাড়ায় পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সদ্য মা হওয়া স্ত্রীর পেটে লাথি মারেন সন্দীপ। সেই সময় সদ্যোজাতর বয়স ছিল চোদ্দ দিন। শুধু সন্দীপ নয়, তাঁর মায়ের ব্যবহার নিয়েও উঠেছিল বিস্তর অভিযোগ। মল্লিকবাগানের বাসিন্দা বলেন, “তখন সন্দীপ ঘোষ নয়, নাম ছিল ডক্টর এস ঘোষ। অর্থপেডিক সার্জেন্ট। তাঁকে দেখাতে অনেকেই এই বাড়িতে আসতেন। ওঁর বাড়িতে একবার গন্ডগোল হয়। আমরা গিয়েছিলাম। উনি ওঁর স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন। মাত্র চোদ্দ দিন ছিল বাচ্চা হয়েছে। শুনেছি সেই সময় যিনি স্ত্রী ছিলেন উনি নীলরতনের চিকিৎসক।” আরও এক বাসিন্দা বললেন, “মানসিকতা ভাল ছিল না। ব্যবহার খারাপ। ওঁর মায়ের ব্যবহারও আরও খারাপ ছিল। যেদিন ওঁর স্ত্রীকে লাথি মেরেছিল সেদিন ওঁর স্ত্রীর সেলাই ফেটে গিয়েছিল। সেই অবস্থায় ওই ভদ্রমহিলাকে আমরা বের করছি হাসপাতালে নিয়ে যাব বলে, তখন আমরা বাচ্চাটার জন্য জামা নিতে গিয়েছি, দেয়নি।” আরও একজন বললেন, “ব্যবহার খারাপ। ডাবল-ডাবল ফিস নিতেন। ভাল লোক ছিলেন না।