ST তালিকাভুক্তির দাবিতে কুড়মী সমাজের ডাকে আজ রেল ও পথ অবরোধে!

সুমন পাত্র : কুড়মীদের কর্মসূচী অনুযায়ী যান চলাচলে বিরাট কিছু প্রভাব না পড়লেও যাত্রী সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর-টাটা শাখায় বন্ধের প্রভাব বেশি ছিল। চন্দ্রকোনা রোড, গড়বেতা কিংবা শালবনি এলাকায় আন্দোলনের তেমন কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায় নী। তবে উড়িষ্যায় আন্দোলনের জেরে অত্যন্ত সতর্কভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে রেল দপ্তর। প্রতিটি যাত্রীবাহী ট্রেনের আগে একটি করে মালগাড়ি চালানো হয়।

ঝাড়খণ্ডের পরেশনাথ ও রায় রেলওয়ে স্টেশনে রেল অবরোধ কর্মসূচির জেরে গয়া-হাওড়া লাইনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল বলে রেল সূত্রে খবর, ওড়িশার বেশ কয়েকটি রেলওয়ে স্টেশনে রেল অবরোধ কর্মসূচী হওয়ার ফলে ভুবনেশ্বর - খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া - আদ্রা রেলপথের কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধ কর্মসূচী পালন করার কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত পুলিশ এবং RPF GRPF এর অনড় অবস্থানের ফলে হয়নি, ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতেও রেল অবরোধ কর্মসূচী ঘিরে জটিলতা শুরু হয়, শুধুমাত্র পুরুলিয়ার কোটশিলা রেলওয়ে স্টেশনে কুড়মী নেতা নৃপেন মাহাত সহ শতাধিক কুড়মী নেতা জমায়েত হয়েছিল রেল অবরোধ কর্মসূচী পালন করার জন্য।পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পশ্চিম মেদিনীপুরের কুড়মী নেতা-নেত্রীদের ধরে ধরে গ্রেফতার করেছে এবং গতকাল রাতেই অজিত মাহাত সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে সাথে কুড়মী গ্রামগুলোতে পুলিশ পৌঁছে গেছে রেল অবরোধ ও পথ অবরোধ কর্মসূচীতে বাধা দেওয়ার জন্য।

এছাড়াও এদিন খড়গপুর টাটানগর প্যাসেঞ্জার হাতিয়া বর্ধমান লোকাল,টাটানগর গয়া লোকাল,আদ্রা হাওড়া রানী শিরোমণি প্যাসেঞ্জার সহ একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়, আদ্রা বোকারো স্টিল সিটি এক্সপ্রেস ভোজুডিহ তালগারিয়া চাস বাঁধডিহি হয়ে ঘুরিয়ে চলাচল করা হয়। রাঁচি-বারাণসী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বোকারো স্টিল সিটিতেই তার যাত্রা শেষ করে।মুড়িতেই টাটানগর-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ও হাতিয়াতে পূর্ণিয়া কোর্ট এক্সপ্রেসের প্রান্তিক স্টেশন ঘোষণা করে রেল। টাটানগর না হয়ে আদ্রা বাঁকুড়া মেদিনীপুর হয়ে ঘুরিয়ে যাতায়াত করানো হয় লোকমান্য তিলক টার্মিনাল গীতাঞ্জলি সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসকেও। আদ্রাতেই নিজের যাত্রাপথ শেষ করতে বাধ্য হয় খড়গপুর হাটিয়া এক্সপ্রেস।

এত সবকিছুর পরেও স্টেশনে স্টেশনে নিত্য যাত্রীদের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম।আন্দোলনের খবরে তেমন একটা নিত্যযাত্রীদের দেখা যায়নি। অনেকে স্টেশনে এসে আন্দোলনের খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। কেউ কেউ মোবাইল কিংবা টিভি থেকে খবর পেয়ে আর ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি।এদিন খড়্গপুর টাটানগর শাখায় বারোটার পর হালকা আন্দোলনের জেরে টাটানগরগামী হাওড়া বারবিল সুপারফাস্ট খড়গপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। তবে এদিন কুড়মীদের আন্দোলন সফল না হলেও যাত্রীদের হাজার অসুবিধার পরেও অতিরিক্ত মালগাড়ি চলার কারণে রেলের যে লক্ষী লাভ হয়েছে সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।