খড়গপুরে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে জমিদাতাদের আন্দোলন!

অরিন্দম চক্রবর্তী : খড়গপুর বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের গ্রাসিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (বিড়লা) ও ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (বট লিংপ্লান্ট) এর জমিদাতা পরিবারের ১৬১ জন বেকার ছেলেমেয়েরা কারখানায় নিয়োগের দাবি ও আবেদন দীর্ঘদিন ধরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন না বরং এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে রবিবার ২৪আগস্ট এক প্রেস মিটে খুব প্রকাশ করেন। ইতিপূর্বে জমি দাতারা তাদের জমির কাগজপত্র সহ ২৫শে নভেম্বর ২০২৪ মহকুমা শাসক এবং ৩০শে ডিসেম্বর-২০২৪ গ্রাসিম ও ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ এবং ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ জেলা শাসকের অফিসে ডেপুটেশন দেন। এতে জমি দাতাদের দাগ নম্বর, পরিমাণ ও মালিকানা এবং পরিবারের ইচ্ছুক বেকারদের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ জন তফসিলি জাতি ও ৭৭ জন তফসিলে উপজাতির জমিদাতা আছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কারখানা কর্তৃক অধিগ্রহণ করা জমির পরিমাণ ৮৫ .৭৯ একর। জমিদাতারা ১৫ জুলাই ২০২৫কারখানার উল্টোদিকে অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৭ জুলাই ২০২৫ ট্রাফিক গোলখুলি দূর্গা মন্দিরে গণ কনভেনশন করেন। এতে সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব, দুজন এম এল এ সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ক্লাব, গণসংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের প্রেসমিটে বক্তারা বলেন ২০১৫ সালের আগে জমি অধিগ্রহণের ফলে এক এক জন জমিদাতা কমপক্ষে চার গুণ টাকা কম পেয়েছেন।

বক্তারা বলেন সিঙ্গুরের জমির মালিকরা যদি যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পান তবে খড়্গপুর শহরের বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জমিদাতারা কাজ পাবেন না কেন? বক্তারা আরো বলেন ম্যানেজমেন্ট বেশিরভাগ বহিরাগত মানুষকে নিয়োগ করছেন। জমি দাতা সহ স্থানীয় বেকাররা বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয় চার থেকে পাঁচ জন বাদে বেশিরভাগ ঠিকাদার ও ভেন্ডারের অধীনে কাজ করছেন। বক্তাদের দাবি প্রশাসনকে মানবিক হতে হবে। অবিলম্বে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকতে হবে। জমি দাতা পরিবারের বেকারদের যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী পদে নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় বেকারদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। বহিরাগতদের দিয়ে কারখানা ভরানো চলবে না। এই সমস্ত দাবিতে আগামী ২৮শে আগস্ট ২০২৫ তারিখে বিকেল তিনটায় ওই এলাকায় জমিদাতা সহ খড়্গপুর গ্রাম শহর এলাকায় মানুষ মিছিল সংগঠিত করবেন। এই মিছিলে সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ নওশাদ সিদ্দিকী, প্রসেনজিৎ রায় ও জেলার বুদ্ধিজীবী মহলের লেখক শিল্পী খেলোয়াড় আইনজীবী সহ আরো বহু পেশার সাথে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। পুলিশের অনুমতি না পাওয়া গেলে আদালতের অনুমতি নিয়ে এই মিছিল হবে বলে তারা জানান। বক্তারা হুংকার দিয়ে বলেন এলাকার জমিদার তা ও বেকাররা প্রয়োজনে রক্ত দেবে দাবি থেকে এক চুল ও সরবে না। দাবি না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন বলে ওনারা জানান। এদিন প্রেসমিড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জমিদাতা যৌথ সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মিহির পাহাড়ী, সহসভাপতি বিপ্লব ভট্ট ,সম্পাদক যুগল দোলই সহ-সম্পাদক লক্ষণ কিস্কু ,কোষাধ্যক্ষ লক্ষ্মন হাঁসদা।এ ছাড়া ছিলেন রাজেন্দ্র দো লই, সবিতা মান্ডি ,বিদ্যুৎ দোলই, চন্দন কুইলা ও আরো অনেকে।