দুষ্কৃতীরাজ খতম দাবিতে খড়গপুরে প্রতিবাদী গন কনভেনশন!

অপূর্ব মজুমদার : খড়গপুরে দুষ্কৃতীরাজ খতম করা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে মালঞ্চর প্রেমহরি ভবনে গন কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক তপন কুমার পাল, দেবাশীষ দে, প্রহ্লাদ পোদ্দারকে নিয়ে সভাপতিমণ্ডলী সভা পরিচালনা করেন । প্রতিবাদী নাগরিক মঞ্চের সভাপতি হয়েছেন ড: এ কে সামন্ত, কার্যকরী সভাপতি প্রহ্লাদ পোদ্দার, সহ সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার পাল, মধু কামী, দেবাশীষ দে। সম্পাদক অনিল দাস।

উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন অনেক অধ্যাপক, ডাক্তার, কবি, আইনজীবী, কাউন্সিলর, শিক্ষক প্রমূখ।প্রস্তাব পাঠ করলেন সুকান্ত মল্লিক। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনিল দাস বলেন " ভয় যেমন ছোঁয়াচে, সাহসও তেমন ছোঁয়াচে। আজ যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি হবে, আগামী দিনে তা দুষ্কৃতীবাজদের ভয় পাওয়াবে।" কংগ্রেস কাউন্সিলর মধু কামী বলেন অনিল দাসের শরীরে শক্তি ছিল ঐ চারজনকে মারার। উনি তা করেননি। এটা শিক্ষা, রুচিবোধ। উনি এফ আই আর করার পরেও বেবী কোলে থানায় গেলে, পুলিশ তাকে অ্যারেস্ট না করে বসিয়ে চা খাইয়েছে। বিজেপি কাউন্সিলর অভিষেক আগর ওয়াল বলেন প্রশাসনের উপর ভরসা চলে গেছে খড়্গপুরবাসীর। তাই এই মঞ্চের জন্ম। প্রশাসন এত দিনেও ঐ চারজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ওরা নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

" আমরা আক্রান্ত " এর যুগ্ম আহ্বায়ক অরুণাভ গাঙ্গুলী বলেন, " যতক্ষণ আপনি ভয় পাবেন, ততক্ষণ দুষ্কৃতীরা আপনার মাথায় চেপে বসবে। প্রশাসনকে দুষ্কৃতীরা চালাচ্ছে। শহীদ তামান্নার গ্রামের ঐ বুথে সিপিএম জিতেছিল। তাই ফল ঘোষণার আগেই ওখানে ১৪ টা বাড়িতে বোম মারে তৃণমূল। সাথে এসেছেন শহীদ শিক্ষক বরুন বিশ্বাসের দিদি প্রমীলা রায় বিশ্বাস, অরুনিমা পাল প্রমূখ। অম্বিকেশ মহাপাত্র জরুরি কাজে দিল্লি চলে যাওয়ায়, তার লিখিত চিঠি পড়ে শোনায় অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়। সিপিএম এর প্রাক্তন কাউন্সিলর অনিত বরন মন্ডল বলেন ডি এম, এস পি, টাউন পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করে নি। এই ভিডিও সারা ভারতবর্ষে ভাইরাল হয়েছে। এরা এখনও নির্বিকার। কোলকাতা হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট সব্যসাচী চ্যাটার্জি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ভবানীপুর থানা থেকে আসামিকে বের করে নিয়ে গেল, তখনই বোঝা গেছিল একটা সমাজবিরোধীদের সরকার তৈরি হলো। পুলিশকে স্যার বলবেন না, উনার ঊর্দিতে নেমপ্লেট লাগাতে বলুন। আপনাকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য সরকার উনাকে বেতন দেয়। থানার ওসির হোঅ্যাপ নাম্বারটা রাখুন। ঐ নাম্বারে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ভয়কে জয় করুন। অনিল দাসের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে এই নাগরিক মঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়। কমিটিতে চিকিৎসক, শিক্ষক, সাহিত্যিক ও সমাজসেবীরা রয়েছেন। আগামী ২৭ শে জুলাই বিকেল চারটায় একটি পদযাত্রা প্রেমহরি ভবন থেকে বেরোবে। মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়।