গড়বেতায় অভিনব উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে গাছ লাগানোর বার্তা!

গড়বেতা সুমন পাত্র: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতায় প্রতিবন্ধীদের মিলিত করে আলোর পরশ নাম দিয়ে গড়বেতার ট্রাক্টর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে ১ লা আগস্ট লাগানো হলো এক হাজারের উপর গাছ সাধুবাদ গড়বেতাবাসীর।বৃক্ষরোপণ একটি পরিবেশ-বান্ধব কাজ, যা সমাজের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও এই কাজে অংশ নিয়ে এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রেখে সমাজকে আলাদা বার্তা দিল। গাছ লাগানো শুধু পরিবেশের জন্যই নয়, এটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে পরিবেশকে বিশুদ্ধ রাখে। বৃক্ষরোপণ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সাহায্য করে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যখন গাছ লাগায়, তখন তারা পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সরাসরি কাজ করে।

আর তাছাড়া গাছ লাগানো একটি শারীরিক ব্যায়াম, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। এছাড়া, প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে এবং আত্ম-মর্যাদা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ সমাজের মূল স্রোতে তাদের একত্রীভূত করে। এটি তাদের সমাজের অংশ হিসেবে অনুভব করতে সাহায্য করে এবং অন্যদের সাথে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার সুযোগ তৈরি করে।কিছু ক্ষেত্রে, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তারা চারাগাছ তৈরি, পরিচর্যা বা অন্যান্য সহযোগী কাজে নিযুক্ত হতে পারে।প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গাছ লাগানোর মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়। তাদের উদাহরণ অন্যদের উৎসাহিত করে এবং বৃক্ষরোপণ আন্দোলনে সকলে একযোগে কাজ করতে উৎসাহিত করে।প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গাছ লাগানোর মাধ্যমে সমাজের প্রতি অবদান রাখাও সম্ভব। এটি পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়ন, আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি এবং সমাজের মূল স্রোতে একীভূত হতে সাহায্য করে। সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের উচিত এই কাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উৎসাহিত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা।এদিনের এই কর্মসূচিকে প্রশাসনও সমাজের উপচিতি মূলক কর্মকাণ্ড হিসেবেই দেখছে।