মেদিনীপুরে সর্বপ্রাচীন কলেজ ও কলেজিয়েট মাঠের খেলা ছাড়া অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবেনা!


পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : ঐতিহ্যমণ্ডিত ঐতিহাসিক মেদিনীপুরে কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলে মাঠ। এই মাঠে খেলাধুলা ছাড়া আর সব কিছুই হচ্ছে। যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে কাগজ, প্লাস্টিকের ব্যাগ, জঞ্জাল, পেরেক, বাঁশের টুকরো। মাঠ জুড়ে অজস্র ছোট-বড় গর্ত। সেই মাঠও যদি জঞ্জাল-আবর্জনা-গর্তে ভরে থাকে তাহলে সত্যিই মুশকিল,তাতে খেলাধুলো করাও বিপদ। এই মাঠে সকাল-বিকেল প্রচুর বয়স্ক মানুষও হাঁটতে আসেন। সমস্যায় পড়েছেন তাঁরাও। ১২ই এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর জেলা আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশনামা কপি হাতে নিয়ে মেদিনীপুর কলেজ স্বশাসিত- ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সত্যরঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন যে মাঠের উপর সরকার বা প্রশাসনের কোনো অধিকার নেই। খেলাধুলা ছাড়া অন্য কোনও কাজে এই মাঠ ব্যবহার করা যাবেনা। কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বা মেলা প্রভৃতির জন্য সরকার বা প্রশাসন এই মাঠ আর ব্যবহার করতে পারবেন না। এদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সত্যরঞ্জন ঘোষ আরও বলেন যে গত ২৭শে মার্চ ২০২৪ মেদিনীপুর জেলা আদালতের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের প্রক্ষে রায়দান করেছেন। তাঁর সংযোজন, "রায় পাওয়ার পরে আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে হাঁটতে চলেছি। মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলে মাঠের অধিকার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকছে মেদিনীপুর কলেজ এবং মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল-র হাতেই। শুধুমাত্র খেলাধুলার ক্ষেত্রে কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল-র কর্তৃপক্ষ অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে। এদিন বিকেলেকলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষের আইনজীবী কুশল মিশ্র একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে। আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশনামা আছে যে এই মাঠ ব্যবহারের জন্য আগে যেমন কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হতো। এখন থেকে আবারও সেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে, খেলাধুলা ছাড়া অন্য কোনও কাজে এই মাঠ ব্যবহার করা যাবেনা। যদি এর অন্যথা হয়,তাহলে পুনরায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য।