মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় জখম মেদিনীপুর কলেজের ছাত্র, নজিরবিহীন বিক্ষোভ চিকিৎসার অর্থনৈতিক জন্য!
পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : গত সোমবার ১৯ই ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর চ্যাংশোলে ভয়াবহ পথ-দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল মেদিনীপুর কলেজের নিউট্রিশন অনার্সের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্র শুভজিৎ দোলই এবং জিতেন্দ্রনাথ পাত্র। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুভজিৎ-কে ওইদিনই মেডিক্যাল কলেজের ICU-তে ভর্তি করা হয়েছিল। এই মুহূর্তে জিতেন্দ্রনাথের শারীরিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল হলেও; শুভজিৎ-র অবস্থা আরো সংকটজনক হয়েছে বলে হাসপাতাল ও কলেজ সূত্রে খবর। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের তরফে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেশপুরের বাসিন্দা, বছর ১৮'র শুভজিৎ-কে লাইফ সাপোর্টে বা ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থেকে ক্রমেই গভীর সংকটজনক হয়ে উঠছে! তাই, পরিবার ও তার বন্ধুদের দাবি, শুভজিৎ-কে মেদিনীপুর থেকে কলকাতার এসএসকেএম (পিজি) বা মল্লিকবাজার নিউরো সাইন্সে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত। সেক্ষেত্রে ছাত্রের চিকিৎসার জন্য যা খরচ হবে, তা কলেজ কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে বলে দাবি মেদিনীপুর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের। এই দাবিতেই শুক্রবার দুপুর থেকে মেদিনীপুর কলেজ চত্বর নজিরবিহীন বিক্ষোভ হয়ে ওঠে।
ছাত্র সংগঠনের তরফে কলেজে মিছিল করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা।এদিকে, আহত ছাত্রের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করার বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ বৈঠকে বসে। বৈঠক শেষে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ. সত্যরঞ্জন ঘোষ বলেন, "সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুর্ঘটনার পরই ছাত্রটিকে ভর্তি করা সহ সমস্ত দায়িত্ব আমরা পালন করেছি। আমরা আপাতত ১ লক্ষ টাকা এবং অ্যাম্বুলেন্সের খরচ দিয়ে ২জন শিক্ষককে সঙ্গে পাঠানো হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া জন্য।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার মেদিনীপুর কলেজের দত্তক নেওয়া গ্রাম শালবনীর গোহালডিহিতে অবস্থিত গোয়ালডিহি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ চলছিল। কলেজের অনুমতি নিয়েই সেখানে যোগ দিয়েছিল নিউট্রিশন বিভাগের পড়ুয়ারা। শুভজিৎ ও জিতেন্দ্রনাথ একটি বাইকে করে পিড়াকাটার দিক থেকে গোহালডিহির দিকে আসার পথে মৌপাল সংলগ্ন চ্যাংশোল এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।