মেয়ের জন্মদিন আলাদা রকম পালন করলো মেদিনীপুরের সমাজসেবী অনয় মাইতি!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : জন্মদিন মানেই বাড়ীতে কেক কাটা,খাওয়া দাওয়ার বিশেষ আয়োজন আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধবদের সাথে জন্মদিনের পার্টি করা। কিন্তু এই চিরাচরিত সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে নিজের জন্মদিন একটু ভিন্ন ভাবে পালন করলেন মাইতি পরিবারের একমাত্র ১৬ বছরের কিশোর সুচি মাইতি। বর্তমানে মোবাইল ও এন্ড্রয়েডের দাপটে হারিয়েছে গ্রিটিংস কার্ড ও চিঠি দেওয়ার প্রচলন।তাই এখন মোবাইলেই হ্যাপি নিউ ইয়ার বা হ্যাপি বার্থডে মেসেজ পাঠিয়ে দায়িত্ব এড়িয়েছে বর্তমান প্রজন্ম।কিন্তু এবার সেই গ্রিটিংস কার্ডের স্মৃতিকে তুলে নিজের জন্মদিন একটু অন্যরকম ভাবে পালন করল সূচি। 4 জানুয়ারি সুচির জন্মদিন, নিজের জন্মদিন পালন পুরোপুরি মেদিনীপুরের সমাজসেবী বাবা অনয় মাইতি দেখানো পথে ,বৃদ্ধাশ্রমে হাজির হয়ে সেখানে পরিবার সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের নিয়ে কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করলো।পাশাপাশি ভালো থাকার জন্য গ্রিটিংস কার্ড দিয়ে"Happy New year"ভালো থাকুন"আজকের দিনে ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা জানাই।এরপর তাদের শীতের পোশাক গায়ে চড়িয়ে দেয়। সকলের জন্য আয়োজন করেন মধ্যাহ্ন ভোজনের। বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ান। মধ্যাহ্ন ভোজনের পর সকলেই বৃদ্ধা মিলে সূচি মাইতি দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন।তারি সাথে মেদিনীপুর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে সবং-এ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক ব্যক্তির হাতে ট্রাই সাইকেল তুলে দিল মেদিনীপুরের সুপরিচিত সমাজসেবী অনয় মাইতি। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে শয্যাশায়ী অবস্থায় পড়ে আছে সবং এর ওই ব্যক্তি ,একটি ট্রাই সাইকেলর দেওয়ার জন্য অনয় মাইতি বলেছিল কিছুদিন আগে। তাই মেয়ের জন্মদিনে ওই ব্যক্তির হাতে একটি ট্রাই সাইকেল তুলে দেয় সূচি মাইতি।পাশে থাকার বার্তা দেন সমাজের প্রতিটা মানুষ যদি সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের পাশে দাঁড়ায়,তবে এই অসহায় মানুষের মুখে কিছুটা হাসি ফুটবে।