জীবিত রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে!
পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী: জীবিত রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বলে অভিযোগ রোগীর পরিবার পরিজনদের। ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে বিক্ষোভ রোগীর পরিবার পরিজনদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জানা যায়, রবিবার বিকেলে মেদিনীপুর কংসাবতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে জলে তলিয়ে যায়। খড়্গপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কিশোর ভি সাই (১৭)। তড়িঘড়ি স্থানীয় মানুষেরা এবং তার বন্ধু-বান্ধবেরা তাকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।। অভিযোগ হাসপাতালের এমারজেন্সিতে নিয়ে আসার পরে ই চিকিৎসকেরা তাকে দেখে মৃত বলে জানায়। এমনকি তার কপালে ডেথ স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীর পরিবার-পরিজনদের অভিযোগ তখনও পর্যন্ত তার হৃদস্পন্দন চালু ছিল। এরপরে তারা রোগীর বুকে পাম্প করতে রোগী বমি করতে শুরু করে। তারপরই জোরালো হয় পরিস্থিতি। ডাক্তারদের চিকিৎসা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবার-পরিজনেরা। এরপরই তড়িঘড়ি রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় ICU তে। পরবর্তী সময়ে ভি সাইকে মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসকেরা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই এদিন ১৭ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হলো। রোগীর পরিবার পরিজনদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
যদিও হাসপাতাল সুপার ডাঃ জয়ন্ত রাউত ফোনে জানান, এরকম কেসে মৃতের পেশী সংকোচনের ফলে অনেক সময় মুখ থেকে তরল পদার্থ বের হয়, তার দেখেই রোগীর পরিজনেরা ভেবেছিল রোগী বেঁচে রয়েছে। তবে রোগী মৃত অবস্থাতেই এসেছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভি সাই (১৭)। তিনি খড়্গপুর শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বন্ধু আনন্দ সরকার জানাচ্ছেন, রবিবার দুপুরে তাঁরা মোহনপুর এলাকায় কাঁসাই নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় জলে তলিয়ে যান ওই যুবক। আনন্দের দাবি, সে সময় চত্বরে অনেকে উপস্থিত থাকলেও কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ উদ্ধারকাজে হাত তো লাগানইনি, উল্টে টাকাও চেয়ে বসেন কেউ কেউ। শেষমেশ যুবককে কোনও মতে উদ্ধার করে বেলা সাড়ে ৪টে নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে এমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।