মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোপ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা!
পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকেই বিক্ষোপ করেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররারা। ঘড়ির কাঁটা যত এগিয়েছে, তত বেড়েছে অবস্থান, বিক্ষোভ, প্রতিবাদের তেজ।শনিবার সকাল থেকে কর্মবিরতিতে নেমেছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ারা। শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি ও আইসিইউ পরিষেবা ছাড়া সমস্ত বিভাগে চলছে কর্মবিরতি। সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকের যৌনাঙ্গে ও শরীরের একাধিক স্থানে একাধিক ক্ষত মিলেছে। ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। সূত্রের খবর, ধৃত ব্যক্তি হাসপাতালেরই নিরাপত্তার কাজে যুক্ত ছিলেন। আরজি কর হাসপাতালের পড়ুয়া চিকিৎসকরা দোষী বা দোষীদের শাস্তি ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে। রাজ্যের অন্যান্য মেডিকেল কলেজেও ডাক্তারি পড়ুয়ারা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। একই পরিস্থিতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও। এমার্জেন্সি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত পরিষেবা আপাতত বন্ধ।
আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু ন্যক্কারজনক এবং অমানবিক। আমার মনে হচ্ছে, যেন নিজের পরিবারের কাউকে হারিয়ে ফেলেছি। এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করা যায় না। জুনিয়র চিকিৎসকেরা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা সঙ্গত বলেই আমি মনে করি। আমি ওদের দাবির সঙ্গে একমত।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি শুক্রবার ঝাড়গ্রামে ছিলাম। রাস্তা থেকে খবর নিচ্ছিলাম। মেয়েটির বাবা এবং মায়ের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। আমি আমার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, দোষীদের চিহ্নিত করে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ফাস্টট্র্যাক আদালতে এই মামলা তুলতে এবং প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন জানাতে। কিন্তু, এই অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই।