বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বিতর্কে মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ!
পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : বুধবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সেমেস্টারের ইতিহাস অনার্সের সি ১৪-টি পেপার তথা মডার্ণ ন্যাশনালিজম ইন ইন্ডিয়া বিষয়ে পরীক্ষা ছিল। সেই প্রশ্নপত্রে ‘ক’ বিভাগের ১২ নম্বর প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘মেদিনীপুরের তিন জন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নাম কর যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?এই প্রশ্নপত্র নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইয়ে গিয়েছে জেলার শিক্ষামহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলা হল কেন? এই মেদিনীপুর শহরের বিপ্লবীরা যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের প্রাণ দিতে ভাবেননি। তাঁদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলা হল। তীব্র নিন্দা জানাই শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ, তার সাথে এই ঘটনার নিন্দায় সরব হন শিক্ষাবীদ থেকে অধ্যাপকরা। আর মেদিনীপুরের পৌর পিতা সৌমেন খান তিনি একজন স্বাধীনতার সংগ্রামের পরিবারের একজন।
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান। ও তাদের মাধ্যমে এই প্রকাশে উঠে এসেছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ১২ নম্বর যে প্রশ্ন যাতে লেখা রয়েছে মেদনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম করো যারা সন্ত্রাসবাদী দ্বারা নিহত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি লিখিত জানান এই বিষয়ে যারা এই প্রশ্ন করেছে তাদেরকে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক। কেন এইরকম বিপ্লবীদেরকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া হয়েছে।সৌমেন খান বলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার কর তাকে ধন্যবাদ জানান যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানান।শিক্ষামহল মনে করছেন, প্রশ্নে যাঁদের উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা ব্রিটিশ আমলে মেদিনীপুরের তিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট — বার্জ (১৯৩৩), পেডি (১৯৩১) এবং ডগলাস (১৯৩২)। এই তিনজনকে হত্যা করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।পেডিকে হত্যা করেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত এবং জ্যোতিজীবন ঘোষ। ডগলাসকে হত্যা করেন প্রভাংশুশেখর পাল ও প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য। বার্জকে হত্যা করেন অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ ও ব্রজকিশোর চক্রবর্তী। এঁদের অনেকেই শহিদ হয়েছিলেন।