মেদিনীপুর শহরে রবীন্দ্রনগরে রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুর বাড়ি আশ্রমকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল!
পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুর বাড়ি একটি আশ্রমকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল।আশ্রমে নিজের মেয়েকে রেখে তার সঙ্গে দেখা করতে এসে দেখা করতে না পেরে রীতি মতো ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মা, অন্যদিকে আশ্রম নিয়ে দেহ ব্যবসা সহ অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ এলাকাবাসীর।ঘটনা ক্রমে জানা যায় মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে "রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুর বাড়ি"নামে একটি আশ্রম রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।এই আশ্রমে স্বামী জয়ানন্দ নামে এক ব্যক্তি মহারাজ নাম দিয়ে আশ্রম খুলেছেন এবং সেখানে তিনি প্রায় ১৪ জনের মত আবাসিক রেখে রীতিমতো আশ্রম চালান।
কিন্তু এই আশ্রম ঘিরে একাধিক অভিযোগ এলাকাবাসীর।কারণ তারা উল্লেখ করেছেন আর দশটা আশ্রমের মতো এ আশ্রম একটু সম্পূর্ণ অন্য ধরনের তৈরি।পুরো আশ্রমটি টিন দিকে ঢাকা কোন জায়গায় সামান্য টুকু ফাঁক ফোঁকর নেই। ছোট্ট পাখি প্রবেশ করতে পারবে না,এছাড়াও পরিচিতি লোক ছাড়া এই আশ্রমের দরজা খোলা হয় না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের।সেইসঙ্গে অভিযোগ রাতের অন্ধকারে নামী দামী গাড়ি এসে ঢোকে।তবে সকালে আলো ফোটার আগেই পুনরায় সেই গাড়ি ছেড়ে দিয়ে যায় আবাসিকদের বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।পরিচিতি লোক ছাড়া আর ঢুকতে দেওয়া হয় নাই আশ্রমে অন্য কাউকে কিছু বলতে গেলেই বা অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় একাধিক মামলা মোকাদ্দামা সেইসঙ্গে পুলিশের ভয়।এই দিন নিজের মেয়েকে দেখা করতে এসে দেখা না করতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মা।
মায়ের অভিযোগ তিনি তার মেয়েকে আশ্রমে দিয়েছিলেন ছোট বেলায়। এরপর মাঝখানে তিনি মেয়েকে নিয়ে যান এবং বাড়িতে ছিল।পরবর্তীকালে আবার কিছু কারণের জন্য আশ্রমে চলে আসে তার মেয়ে।এরপর মাঝে কেটে গেছে বছর দুই তিনেক।কিন্তু এরপর যখনই তিনি মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন আশ্রমে কিছুতেই তাকে দেখা করতে দেওয়া হয় না।এমনকি মেয়ে দরজার ভেতর থেকে জানিয়ে দেয় তিনি মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান না। বাধ্য হয়ে এই মেয়ের মা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে যান।এর আগে এক জন্মদিনে মেয়েকে আশীর্বাদ করতে এসেও খালি হাতে ফিরে যেতে হয় মাকে।তিনি এ নিয়ে বহু জায়গায় অভাব অভিযোগও জানিয়েছেন কিন্তু তাতেও কোনো উত্তর মেলেনি।এই দিনও তিনি মেয়েকে দেখতে ছুটে আসেন দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে।কিন্তু সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুর্ভাগ্যবশত তাকে গেটের বাইরে অপেক্ষা করে রাখেন এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহারাজ। মায়ের অভিযোগ তার মেয়েকে ওষুধ খাইয়ে বশ করে রেখেছে এই মহারাজ।
এছাড়া একাধিক কুকর্ম চলে এই দরজা বন্ধ আশ্রমে। যা নিয়ে এদিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।এই ঘটনায় ছুটে আসতে হয় পুলিশ প্রশাসন সেইসঙ্গে পৌর প্রশাসনের লোকজনদের।যদিও সকাল থেকে অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত রাতে আবাসিকদের হাতে মার খেয়েই রাস্তায় পড়ে রইলেন মা। তবে মায়ের কথা সত্যি অভিযোগ এই আশ্রমে দেহ ব্যবসা সহ কু কর্মের কাজ হচ্ছে, তা নাহলে আশ্রমের যিনি মহারাজ বলে পরিচিত আবাসিকদের দিয়ে আমি মাকে মারার কারণ কি এইখানেই প্রশ্ন উঠে আসছে?