উৎসব মিটেছে,পথে রয়ে গিয়েছে মণ্ডপের হোর্ডিং!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : নিয়ম মানা তো দূর, নিয়ম বলে যে আদৌ কিছু আছে, সেটাই যেন বেমালুম উধাও হয়ে গিয়েছে শহরের প্রধান রাস্তাগুলি থেকে। দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু উৎসবের পরও মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এখনো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে বড় বড় বাঁশের তৈরি গেট। পুজোর সময় বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এই গেটগুলো তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই গেটগুলিই শহরের যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাস্তার উপর থাকা এই গেটগুলির কারণে প্রতিদিনই নিত্যযাত্রী,ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও সমস্যায় পড়ছে।যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কড়া অবস্থান নিয়েছে মেদিনীপুর পৌরসভা। পৌরপ্রধান সৌমেন খান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন “আগামী তিন দিনের মধ্যে শহরের সমস্ত রাস্তার উপর থাকা গেট খুলে ফেলতে হবে।

নির্দেশ অমান্য করলে পৌরসভা নিজের উদ্যোগে গেট ভেঙে ফেলবে এবং পুজো কমিটি ও বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “রাস্তার উপর গেট রাখার ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা আমাদের প্রথম দায়িত্ব। তাই এখনই এই গেটগুলো সরিয়ে ফেলা জরুরি।”পৌরসভার এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে শহরের বিভিন্ন পূজা কমিটি ও বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলি।

উৎসব শেষে শহরকে আবার আগের মতো পরিপাটি ও স্বচ্ছ রাখার দায়িত্ব সবারই।সব মিলিয়ে, দুর্গোৎসবের আনন্দ শেষ হলেও এখন শহরে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু— মেদিনীপুর পৌরসভার তিন দিনের সময়।দেখা যাক, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শহর গেটমুক্ত হয় কিনা, নাকি শেষ পর্যন্ত হাত লাগাতে হবে পৌরসভার হাতুড়ি!