মেদিনীপুর শহর লাগোয়া এক নম্বর ওয়ার্ডের হঠাৎপল্লীর পর ফের মিলল আরও এক "বাংলাদেশি শরণার্থীর"আশ্রয় কেন্দ্র!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মেদিনীপুর শহর লাগোয়া এক নম্বর ওয়ার্ডের হঠাৎপল্লীর পর ফের মিলল আরও এক "বাংলাদেশি শরণার্থীর"আশ্রয় কেন্দ্র। মেদিনীপুর সদর ব্লকের খয়রুল্লা উত্তরপাড়া এলাকায় ২০০৫ সালের পর থেকেই গড়ে উঠেছে এই নতুন বস্তি-সদৃশ কলোনি। দাবি, এখানে বসবাস করছেন প্রায় ৫০–৬০টি পরিবার, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ থেকে বনগাঁ সীমান্ত পেরিয়ে এসেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কারও নামই নেই। ফলে বর্তমান এসআইআর আবহে ব্যাপক উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীরা অভিযোগ করছেন,বাংলাদেশের ধর্মীয় নির্যাতন থেকে প্রাণ বাঁচাতেই দালালদের সাহায্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসতে হয়েছে তাঁদের।

পরিবার ভেদে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করে এসেছেন বলে দাবি। খয়রুল্লা উত্তরপাড়ার এই কলোনিতে প্রায় দুই দশক ধরে বসবাস করলেও আইনগত ভাবে তাঁরা এখনও অবৈধ। যদিও প্রত্যেকেই পেয়েছেন এসআইআর-এনুমারেশন ফর্ম।

কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় কাটছে না। শরণার্থীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের উপরই তাঁদের শেষ ভরসা। তাঁরা প্রত্যাশা করছেন, শীঘ্রই সিএএ (CAA)-এর আওতায় বৈধ নাগরিকত্ব মিলবে তাঁদের।