উত্তর প্রদেশে খুন বীরভূমের পরিযায়ী শ্রমিক প্রতীক হেমব্রম!
নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তর প্রদেশে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হলেন বীরভূমের এক আদিবাসী যুবক। মৃত যুবকের নাম প্রতীক হেমব্রম (বয়স প্রায় ২৮)। তাঁর বাড়ি বীরভূম জেলার কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দামোদরপুর গ্রামে। পরিবারের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের দিল্লি-কানপুর রেললাইনের ধারে প্রতীককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতীক কিছুদিন আগে কাজের জন্য উত্তর প্রদেশে গিয়েছিলেন। তাঁর দেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের পাশে, শরীর জুড়ে ছিল গভীর আঘাতের চিহ্ন পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয় — খুন করা হয়েছে প্রতীককে। মৃতের গ্রামে শোকের ছায়া। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রতীক ছিলেন শান্ত,পরিশ্রমী ছেলে —পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। ইতিমধ্যেই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তাপমাত্রা বেড়েছে। রবিবার রাত দুটো নাগাদ পারুই থানার পুলিশ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে গোটা বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান। আধার কার্ড দেখে পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন। মৃতের ভাইয়ের স্ত্রী বলেন, “আমরা আলাদা করে কিছুই জানতে পারিনি। পুলিশ রাত দুটোয় এসে ছবি দেখায়। দেখি রেললাইনের ধারে দেহ পড়ে রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে।”
তৃণমূল কংগ্রেস এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরব হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লেখা হয়েছে, “পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন বিজেপির ভাড়াটে খুনিদের হাতে আমাদের বাংলার মানুষ নির্যাতিত হলে, তারা হস্তক্ষেপ না করে।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন। তাঁর নির্দেশে সোমবার সাংসদ সমীরুল ইসলাম এবং রাজ্যের অন্যান্য আদিবাসী নেতারা দামোদরপুরে গিয়ে প্রতীকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, সান্ত্বনা দেন এবং আশ্বাস দেন যে রাজ্য সরকার তাদের পাশে থাকবে। স্থানীয়দের প্রশ্ন —“রুটি-রুজির তাগিদে বাইরে যাওয়া কি অপরাধ? এই ঘটনার পর ফের আলোচনায় এসেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রশ্ন।