ISL-এর ফাইনালে পৌঁছাল মোহনবাগান।
কলকাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা : লিগ-শিল্ড আগেই জিতেছিল সবুজ-মেরুন। এ বার সুযোগ ফাইনাল জিতে ‘ডাবল’ করার। রবিবার ঘরের মাঠে ওড়িশাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ISL-এর ফাইনালে পৌঁছাল মোহনবাগান। জেসন কামিংস এবং সাহাল আব্দুল সামাদ গোল করলেন। ওড়িশার বিরুদ্ধে নামার আগে মোহনবাগান জানত তাদের এই ম্যাচে অন্তত দু’গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে। প্রথম চার মিনিটেই তিন বার ওড়িশার বক্সে হানা দেন মোহনবাগানের ফুটবলারেরা। দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ জিতে ফাইনালে উঠে গেল মোহনবাগান। প্রথম পর্বে তারা হেরেছিল ১-২ গোলে।গোটা ম্যাচে দুই দলেরই আগ্রাসী ফুটবল দেখা গিয়েছে। তবে ঘরের মাঠে ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে প্রাধান্য বেশি ছিল মোহনবাগানেরই। দিমিত্রি পেত্রাতোসের পাশাপাশি কামিংসকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। কামিংস গোল করে আস্থার দাম রেখেছেন। চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পরে নেমে গোল পেয়েছেন সাহালও। তবে জিতলেও মোহনবাগান যে হারে সুযোগ নষ্ট করেছে তা চাপে রাখবে কোচ হাবাসকে। সব ঠিক থাকলে এই ম্যাচে আরও বেশি ব্যবধানে জেতার কথা ছিল সবুজ-মেরুনের। প্রথম ২২ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বক্সের বাইরে বাঁ দিক থেকে শট নিয়েছিলেন পেত্রাতোস। সেই শট বাঁচিয়ে দিলেও বার করে দিতে পারেননি অমরিন্দর। সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কামিংস। তিনি ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন। তিন মিনিট পরেই ওড়িশা গোলের সুযোগ পায়। ডান দিকে বল নিয়ে রয় কৃষ্ণ ঢুকে পড়েন মোহনবাগানের বক্সে। পাস দেন দিয়েগো মৌরিসিয়োকে। তবে ব্রাজিলের ফুটবলার সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
বিরতির এক মিনিট আগে অল্পের জন্য গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় মোহনবাগান। শুভাশিসকে পিছনে ফেলে বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন সেই রয় কৃষ্ণ। সেই বল এসেছিল ইসাকের কাছে। তাঁর হেড প্রায় গোললাইন থেকে বাঁচিয়ে দেন হেক্টর ইয়ুস্তে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আচমকাই খেলায় ঝাঁজ বাড়িয়ে দেয় ওড়িশা। সেই সময় বেশ চাপের মুখে পড়ে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ ধেয়ে আসছিল মোহনবাগানের বক্সে। এক সময় মনে হচ্ছিল খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে। কিন্তু শেষ দিকে যে চিত্রনাট্য বদলে যাবে তা কেউ জানতেন না। বাঁ দিক থেকে মনবীর বল নিয়ে উঠেছিলেন। তিনি বক্সে পাস দেন। তা এগিয়ে এসে অমরিন্দর ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বল হাতে শরীরে লেগে উঠে যায়। সামনেই ছিলেন সাহাল। তাঁর মাথায় লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। রেফারি গোলের বাঁশি বাজানোর পর প্রতিবাদ করেন অমরিন্দর। তাঁর দাবি ছিল, বল সাহালের হাতে লেগেছে। তবে রেফারি কর্ণপাত করেননি।যদিও রিপ্লে-তেও বার বার দেখা যায় বল সাহালের মাথায় লেগেছে।