সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী!

নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ২১শে এপ্রিল সোমবার দুপুরে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাজ্যের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উদ্বোধনী মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র রাজ্যের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য একটি বড় মাইলফলক। এই প্রকল্প শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনই নয়, এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও সাহায্য করবে।”জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট, যা আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী, স্থানীয় বিধায়ক, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা ও জিন্দল গোষ্ঠীর শীর্ষকর্তারাও। প্ল্যান্টের উদ্বোধন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সজ্জন জিন্দাল, এবং তাঁর পুত্র পার্থ জিন্দল। অতিথি ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব, জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার,বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা,সাংসদ জুন মালিয়া,বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বিধায়ক সুজয় হাজরা,বিধায়ক দীনেন রায়, বিধায়ক অজিত মাইতি, বিধায়ক শিউলি সাহা,প্রতিভা মাইতি, জিন্দল গোষ্ঠীর শীর্ষকর্তারা ও। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বাংলায় ছ’টি ইকোনমিক করিডর হয়েছে।

শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই ৩৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি জিন্দাল পরিবারকে অনেক দিন ধরেই চিনি। তাদের বেঙ্গালুরুর বিজয়নগর প্ল্যান্ট এরিয়ায় আমি গিয়েছি। সেই এলাকা বর্তমানে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। জিন্দাল গোষ্ঠী শুধু কারখানার কথা ভাবে না। সেখানকার বাসিন্দা, কারখানার কর্মীদের জন্য পরিবেশের কথাও ভাবে। আমি মনে করি আজ থেকে আগামি পাঁচ বছর পর এই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যাবে।