মালদহের বেসরকারি নার্সিংহোমে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু মা-সদ্যোজাতের!
OT রুমের মধ্যে প্রসূতির হাত-পে বেঁধে সিজার করা.......................অকথ্য যন্ত্রণায় মৃত্যু হয় প্রসূতি মায়ের...........
নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রসূতি রোগীদের জন্য বিশেষ পরিকাঠামো না থাকলেও OT করার পর মত্যু হল এক প্রসূতি মায়ের। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচকের একটি নার্সিংহোমে। ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে OT রুমের মধ্যে প্রসূতির হাত-পে বেঁধে সিজার করা হয়। অকথ্য যন্ত্রণায় মৃত্যু হয় প্রসূতি মায়ের। এমনকি বিশেষ পরিকাঠামো না থাকার অভিযোগও উঠেছে । মৃত প্রসূতির নাম ফুলটুসি খাতুন। বয়স ২৪ বছর। এই ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেলো সদ্যোজাতেরও। আরও অবাক করা ব্যাপার,অ্যাম্বুলেন্স চালক তাঁদের ভুল বুঝিয়ে কালিয়াচকের ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে প্রসূতি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। হঠাৎ করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সদ্যোজাতকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলে। পরিবারের লোকজন ভোর পাঁচটা নাগাদ সদ্যোজাতকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করেন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ফিরে গিয়ে পরিবারের লোকজন দেখেন প্রসূতি ফুলটুসি খাতুনের হাত পা বাঁধা এবং মারা গিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে মৃত প্রসূতির স্বামী বলেন, “রাত ১টার সময় থেকে আমাকে ওরা বলছিল, ছেলেকে নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ভর্তি করাও। আমি তখন যেতে চাইছিলাম না। রাত তিনটের সময়ে নিয়ে গেলাম। ভোর পাঁচটায় ভর্তি হল। সকাল আটটায় এসে দেখি, আমার স্ত্রী শেষ। অ্যাম্বুলেন্স ডেকে দেহ বার করে দিল। কোনও কাগজপত্রও দেয়নি। ওরাই বলছিল, ওদের কাছে নাকি কোনও ওষুধপত্র নেই।” ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কালিয়াচকের ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসককে।