অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন,ধর্ষকদের একদম এনকাউন্টার করে মারা উচিত!

নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী মৌমিতা দেবনাথকে (৩০) ওই কলেজেই ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। মৌমিতা দেবনাথ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনা জেলার পানিহাটি বিধানসভার নাটাঘর অম্বিকা মুখার্জি রোড, সি আর পার্কের এলাকার বাসিন্দা।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,   গত বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) রাত ২টা পর্যন্ত ডিউটি করেন মৌমিতা। পরে কর্মরত আরও দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে চলে যান তিনি। শুক্রবার (৯ আগষ্ট) দুপুরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সেমিনার হল থেকেই মৌমিতা দেবনাথের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তারা হাসপাতালের সুপার ও হাসপাতালের আউটপোষ্টের পুলিশকে খবর দেয়। এই ঘটনার পরপরই হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারা একমাত্র জরুরি বিভাগ ছাড়া বাকি সব বিভাগে কাজকর্ম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

আদালত ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু অসঙ্গতি মেলায় শনিবার সকালেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল পুলিশের তরফে। আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে।

অন্যদিকে, হাসপাতালের ভেতর এক মহিলা চিকিৎসকের ঘটনার প্রতিবাদের হাওয়া বইছে গোটা দেশে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। আইএমএ। এদিন আইএমএ-র তরফে বলা হয়, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার কক্ষে একজন কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে৷ হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা কোথায় ছিলেন? আইএমএ প্রশ্ন তোলে, কেন কোনও সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি? বাইরের লোক সেই হলে ঢুকে যায় কী করে? এরকম একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে সঞ্জয় রায় নামে অভিযুক্ত ১১টা নাগাদ একবার মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের আবাসনে ঢুকেছিল। কিছুক্ষণ পরে সে বেরিয়ে যায়। এরপর মধ্যরাতের দিকে সে আবার হাসপাতালে প্রবেশ করে। অভিযুক্ত মত্ত অবস্থা ছিল বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন,  “আমি মনে করি আইনসভায় এমন কঠোর আইন আনা দরকার, যেখানে সাত দিনের মধ্যে খুনি ধর্ষকদের একদম এনকাউন্টার করে মারা উচিত। অভিষেকের কথায়, উত্তর প্রদেশে হোক, মহারাষ্ট্রে হোক, কর্নাটকে হোক বা বাংলায় হোক, সমাজের পক্ষে এ ধরনের ঘটনা লজ্জার, দুর্ভাগ্যের, নারকীয়।